ভারতের কান্না পৌঁছেছিল ওয়াশিংটনে মাত্র দুই ঘণ্টায়: পাকিস্তানের পাল্টা জবাবে ভূকম্প!
নিজস্ব প্রতিবেদক | আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ভারতের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করে আলোড়ন তুলেছেন পাকিস্তানের পরিকল্পনা মন্ত্রী আহসান ইকবাল। তিনি বলেন, ভারতের কাশ্মীরের পেহেলগামে চালানো ‘ফলস ফ্ল্যাগ অপারেশন’-এর জবাবে পাকিস্তান এমন কঠোর ও কৌশলী প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে যে মাত্র দুই ঘণ্টার মধ্যেই ভারতের কান্না পৌঁছে যায় ওয়াশিংটনে।
তিনি আরও দাবি করেন, পাকিস্তান এখন আর "হামলা করবো কি না"—এই ধরনের সিদ্ধান্তহীনতায় থাকে না। বরং নেতৃত্ব এখন সাহসিকতার সঙ্গে সিদ্ধান্ত নেয় এবং প্রতিক্রিয়া জানায়।
নারোওয়ালের এক উদ্ধার কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “আমাদের হাতে এখন নেতৃত্ব ও সেনাবাহিনীর এমন সংমিশ্রণ রয়েছে, যেটা শুধু প্রতিক্রিয়াই জানায় না, শত্রুপক্ষকে তাদের ভুল বোঝার মূল্য বুঝিয়ে দেয়।”
‘জং ধরা ধাতব টুকরো’তে পরিণত ভারতের যুদ্ধবিমান!
আহসান ইকবাল দাবি করেন, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পেশাদারিত্ব এবং আধুনিক সামরিক সক্ষমতা এতটাই শক্তিশালী যে, ভারতের মাল্টি-মিলিয়ন ডলারের যুদ্ধবিমানগুলো একের পর এক ধ্বংস হয়ে ‘জং ধরা ধাতব টুকরো’তে পরিণত হয়েছে।
তিনি বলেন, “যুদ্ধ জেতা যায় সংখ্যায় নয়, বরং দক্ষতায়। আর সেটাই আজ পাকিস্তান প্রমাণ করেছে।”
কাশ্মীর হামলা: ফলস ফ্ল্যাগ অপারেশনের অভিযোগ
পাকিস্তান সরকার সম্প্রতি ‘অপারেশন বুনিয়ান-উম-মারসুস’ নামে একটি সামরিক সফলতার বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, কাশ্মীরের পেহেলগামে সংঘটিত ভয়াবহ হামলাটি ভারতেরই সাজানো একটি ‘ফলস ফ্ল্যাগ অপারেশন’। উদ্দেশ্য ছিল—পাকিস্তানকে আন্তর্জাতিক পরিসরে কলঙ্কিত করা।
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ঘটনার মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যেই ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে, যা পূর্ব-পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত দেয়। পাকিস্তান একটি নিরপেক্ষ আন্তর্জাতিক তদন্ত চেয়েছিল, কিন্তু ভারত তা সরাসরি প্রত্যাখ্যান করে।
ভারতীয় বিমান হামলা এবং পাকিস্তানের নিশানা-ভিত্তিক জবাব
প্রতিবেদনে জানানো হয়, পাকিস্তানের ওপর দোষ চাপিয়ে ভারত মুরিদকে, বাহাওয়ালপুর এবং মুজাফ্ফরাবাদে বিমান হামলা চালায়। এতে বেসামরিক মানুষ এবং ধর্মীয় স্থাপনায় ক্ষয়ক্ষতি হয়।
পাকিস্তান এরপর লক্ষ্যভিত্তিক প্রতিক্রিয়া জানায়। শুধুমাত্র ভারতীয় সামরিক স্থাপনা ছিল তাদের নিশানায়। এই প্রতিক্রিয়া ছিল সীমিত কিন্তু অত্যন্ত কার্যকর।
এস-৪০০ নিষ্ক্রিয়, ব্রাহ্মোস ঘাঁটিতে হামলা
পাকিস্তানের দাবি অনুযায়ী, তারা ভারতের এস-৪০০ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা নিষ্ক্রিয় করেছে, এবং ব্রাহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটিতেও সফল হামলা চালিয়েছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ভারত সীমান্তে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে ড্রোন ব্যবহার করেছে, যা আঞ্চলিক উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দেয়।
যদিও কাশ্মীরের পেহেলগাম পাকিস্তান সীমান্ত থেকে ২০০ কিলোমিটারেরও বেশি দূরে, তবুও ভারতীয় মিডিয়া দ্রুত পাকিস্তানকে দায়ী করে প্রচার শুরু করে। অনেক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম এতে প্রশ্ন তোলে এবং ভারতীয় দাবিকে সন্দেহের চোখে দেখে।
শান্তির পক্ষে পাকিস্তান, তবে সার্বভৌমত্বে আপোষ নয়
প্রতিবেদনের শেষে পাকিস্তান জানায়, তারা শান্তির পক্ষে। কিন্তু যখন কথায় আসে ভূখণ্ড ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, তখন তারা সর্বদা প্রস্তুত। তারা চায় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা হোক, রাজনৈতিক ফায়দা তোলার জন্য যুদ্ধ বা মিথ্যা প্রচারণা নয়।
এই প্রতিবেদন এবং আহসান ইকবালের বক্তব্য ভারতের জন্য কেবল সমালোচনাই নয়, একধরনের কূটনৈতিক চাপও সৃষ্টি করছে। এমন সময়ে যখন দক্ষিণ এশিয়ায় সামরিক উত্তেজনা ক্রমেই বাড়ছে, তখন এই ধরনের বক্তব্য ও প্রতিবেদন দু’দেশের সম্পর্ক আরও জটিল করে তুলতে পারে।
পাকিস্তান যে শুধু কথায় নয়, কৌশলগতভাবে ও তথ্য-নথির মাধ্যমে ভারতের প্রচারণার জবাব দিচ্ছে, সেটাও এই প্রতিবেদনে পরিষ্কার। এখন দেখার বিষয়—আন্তর্জাতিক পরিসরে এই প্রতিক্রিয়া কতটা প্রভাব ফেলতে পারে।