দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় বেকসুর খালাস পেয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাবেক একান্ত সচিব ও সাবেক ছাত্রদল নেতা মিয়া নূর উদ্দিন আহমেদ অপু। তিনি শরীয়তপুর-৩ (গোসাইরহাট-ডামুড্যা-ভেদরগঞ্জ) আসনের ধানের শীষের প্রার্থী ছিলেন।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) ঢাকার বিশেষ আদালতের বিচারক রেজাউল হকের আদালত এই রায় ঘোষণা করেন।
মামলার পটভূমি: মামলার এজাহার অনুযায়ী, ২০২১ সালের ২৮ জানুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বাদী হয়ে দুদক আইন-২০০৪ এর ২৬ (২) ধারায় অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। তবে আইনের ২৬ (১) ধারায় আসামির প্রতি নোটিশ জারি না করেই মামলা করা হয়। মামলায় দাবি করা হয়, আসামি মিয়া নূর উদ্দিন আহমেদ অপুকে সম্পদের বিবরণী দাখিল করতে বলা হয়েছিল। পরবর্তীতে মামলাটি ঢাকার বিশেষ আদালত-১০ এ স্থানান্তরিত হয়।
কিন্তু মামলার বিচার প্রক্রিয়ার একপর্যায়ে এটি সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করা সম্ভব হয়নি। ফলে বৃহস্পতিবার আদালত আসামি মিয়া নূর উদ্দিন আহমেদ অপুকে বেকসুর খালাস দেন।
আইনজীবীর প্রতিক্রিয়া: আদালতে আসামির পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন বিশিষ্ট আইনজীবী খান মোহাম্মদ মঈনুল হাসান লিপন। তিনি বলেন, "এই মামলা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও হয়রানিমূলক। দুদক আইন অনুযায়ী অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে নোটিশ জারি করতে হয়, যা এ ক্ষেত্রে করা হয়নি। ফলে আদালত যথাযথ বিচার বিশ্লেষণ শেষে তাকে খালাস দিয়েছেন।"
তিনি আরও জানান, মামলাটি ছিল সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং এর কোনো আইনি বৈধতা ছিল না।
আদালতের পর্যবেক্ষণ: ঢাকার বিশেষ আদালত-১০ এর বিচারক রেজাউল হক মামলাটি খতিয়ে দেখে রায় প্রদান করেন। তিনি বলেন, "এ মামলায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়নি। আইন লঙ্ঘন করে দায়ের করা মামলার ভিত্তিতে কাউকে দোষী সাব্যস্ত করা যায় না।"
অতীতের মামলার রায়: উল্লেখ্য, এর আগেও দ্রুত বিচার আইনে ২০০৭ সালের ৮ মার্চ গুলশান থানায় দায়ের করা আরেকটি মিথ্যা মামলায় গত ৪ মার্চ আদালত মিয়া নূর উদ্দিন আহমেদ অপুকে বেকসুর খালাস দেন। এ নিয়ে তিনি একাধিক মামলায় নির্দোষ প্রমাণিত হলেন।
সারসংক্ষেপ: মিয়া নূর উদ্দিন আহমেদ অপুকে টানা দুটি মামলায় বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। তার আইনজীবীরা বলছেন, এসব মামলা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অংশ এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আদালতের রায়ে এটি প্রমাণিত হয়েছে যে, তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই।