close
ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!
ড্যাপ ইস্যুতে ঢাকা শহরের দুই লক্ষাধিক ভূমি মালিকের ক্ষোভ: পরিবর্তনের দাবি জোরদার


ঢাকার দুই লক্ষাধিক ভূমি মালিক ডিটেইল এরিয়া প্ল্যান (ড্যাপ) ২০২২-২০৩৫-এর কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তাদের অভিযোগ, ড্যাপের নতুন বিধিমালা ভবন নির্মাণের অনুমোদন জটিল করে তুলেছে এবং জমির যথাযথ ব্যবহার বাধাগ্রস্ত করছে।
রোববার (৫ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে ঢাকা শহরের ক্ষতিগ্রস্ত ভূমি মালিক সমিতি এই ইস্যুতে পাঁচটি প্রধান দাবি উত্থাপন করেছে।
মানববন্ধনের মূল দাবি
সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ডা. দেওয়ান এম এ সাজ্জাদ বলেন, “ড্যাপের মূল উদ্দেশ্য ভূমির সুষ্ঠু শ্রেণীবিন্যাস, সংরক্ষণ ও উন্নয়ন করা। কিন্তু বাস্তবে এটি নগরবাসীর বাসস্থানের অধিকার সংকুচিত করেছে।” তিনি অভিযোগ করেন, ২০০৮ সালের নির্মাণ বিধিমালায় যেখানে ১০ তলা ভবন নির্মাণ সম্ভব ছিল, সেখানে বর্তমানে একই পরিমাণ জমিতে মাত্র ৫ তলা ভবনের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, “ড্যাপের কারণে ঢাকার ৮০ শতাংশ এলাকায় নকশা অনুমোদন আটকে রয়েছে। এর ফলে হাজারো প্রকল্প থেমে গেছে, যা নগরীর উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করছে।”
দাবিগুলোর সারসংক্ষেপ
১. ২০০৮ সালের বিধিমালা অনুযায়ী নির্মাণ বিধিমালা সংশোধন।
২. ঢাকার জলাশয়, খাল-বিল, খেলার মাঠ ও পার্ক সংরক্ষণের জন্য ড্যাপ সংস্কার।
৩. নকশা অনুমোদনের প্রক্রিয়া সহজীকরণ।
৪. জলাবদ্ধতা মুক্ত করার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ।
৫. ভূমি মালিকদের ওপর হয়রানি বন্ধ করা।
সমিতির সদস্যদের বক্তব্য
সমিতির অন্যান্য সদস্য, মো. হুমায়ুন কবির, মো. জাহাঙ্গীর আলম এবং এ. কে. এজাজ মাহমুদ, এই দাবিগুলোর প্রতি তাদের সমর্থন জানান। তারা বলেন, “ড্যাপের পরিবর্তন ছাড়া ভবিষ্যতে ঢাকার আবাসন সংকট আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে।”
এই মানববন্ধন থেকে স্পষ্ট যে, ড্যাপ ইস্যুতে নগরবাসীর মধ্যে অসন্তোষ ক্রমেই বাড়ছে। সমিতির দাবিগুলোর প্রতি যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বক্তারা।
ভবিষ্যতের সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কী ভূমিকা হবে, সেটিই এখন দেখার বিষয়।
Keine Kommentare gefunden