প্রতিদিন (শুক্র -শনি ব্যতীত) পটুয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আট উপজেলা থেকে হাজারো মানুষের সমাগম ঘটে। এখানে কেউই মনের আনন্দে আসে না। প্রত্যেকটা লোকই সমস্যায় জর্জরিত। সেই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আদালত কর্তৃপক্ষের সংযুক্ত কর্মকর্তা কর্মচারীরা যখন যা বলে তাই করে বাদী আসামি উভয় পক্ষ। যদি কারো আর্থিক সামর্থ্য না থাকে তাহলে তার পরাজিত হওয়ার সম্ভাবনা ৬০%। মামলায় টাকা খরচ করতে করতে নিঃস্ব হয়ে পটুয়াখালী ছেড়ে ঢাকা গিয়েছে তার সংখ্যা ও হাজারের কম নয়। আবার মিথ্যা মামলায় জেলের ভিতর সাজা ভোগ করতেছে এমন সংখ্যা ও নেহাত কম নয়। এ অবস্থায় অসহায় দিশেহারা মানুষদের একমাত্র আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছে পটুয়াখালী জেলা লিগ্যাল এইড অফিস। যেটি পরিচালনার বর্তমান দায়িত্বে জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার । প্রতিদিন বাদী ও বিবাদী পক্ষ ও তাদের লোকজন নিয়া তার কক্ষে মামলা ব্যতীত তাদের জবানবন্দির উপরভিত্তি করে মীমাংসার জন্য রায় প্রদান করেন লিগ্যাল এইড অফিসার নওরিন করিম। বেশিরভাগ উভয়পক্ষ মীমাংসায় সন্তোষ প্রকাশ করে। যা লিগ্যাল এইড ব্যতীত অন্য ভাবে করলে টাকা ব্যয় হতো। সুবিধাভোগী পটুয়াখালীর আট উপজেলার মানুষগুলোকে দেখলে মনে হয় যেন স্বস্তিতে ফিরেছেন। তারা জানান, লিগ্যাল এইড আমাদের মামলা করতে না দিয়ে মিশাইয়া দিছে। আবার বাদী অথবা বিবাদী পক্ষের দুস্কৃতিকারী অপরাধী পক্ষ যদি মীমাংসায় রাজি না হয় তাহলে লিগ্যাল পক্ষকে মামলা করা থেকে শুরু করে রায় পর্যন্ত বিনামূল্যে আইনি সেবা প্রদান করে লিগ্যাল এইড পটুয়াখালী । বাংলাদেশের প্রত্যেক জেলার লিগ্যাল এইড অফিসারেরা আমাদের পটুয়াখালী জেলা লিগ্যাল এইডের মত হতো তাহলে এদেশে মারামারি, হানাহানি, হত্যা, রাহাজানি কমে যেত ।
No se encontraron comentarios