দীর্ঘ কয়েক সপ্তাহ ধরে চলতে থাকা প্রতীক্ষা এবং রাজনৈতিক টানাপোড়েনের অবসান ঘটিয়ে অবশেষে মঙ্গলবার রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা জেলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি পেলেন তার বোন উজমা খানম। এই সাক্ষাৎ এমন এক সময়ে হলো, যখন কারাগারের বাইরে বহু সংখ্যক পিটিআই সমর্থক ভিড় করেছিলেন এবং ইসলামাবাদ ও রাওয়ালপিন্ডির রাজনৈতিক পরিবেশ ছিল উত্তপ্ত।
পিটিআই (পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ) দলটির পক্ষ থেকে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ করা হচ্ছিল যে, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের সদস্য বা দলের নেতাদের তার সঙ্গে দেখা করার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। খাইবার পাখতুনখোয়ার মুখ্যমন্ত্রী সোয়াইল আফ্রিদী নিশ্চিত করেন যে, ২৭ অক্টোবরের পর থেকে ইমরান খান কিংবা তার স্ত্রী বুশরা বিবির সঙ্গে কাউকে সাক্ষাৎ করতে দেওয়া হয়নি। এই দীর্ঘ নিষেধাজ্ঞার প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার পিটিআই কর্মীরা ইসলামাবাদ ও রাওয়ালপিন্ডির রাস্তায় বিক্ষোভে নামেন।
এদিকে, এই বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে সরকার কঠোর অবস্থানে ছিল। যেকোনো ধরনের জনসমাগম ঠেকাতে দুই শহরেই ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছিল, যেখানে চারজনের বেশি মানুষের একত্র হওয়া নিষিদ্ধ। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তালাল চৌধুরী সতর্ক করে দিয়ে জানান, আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না এবং ১৪৪ ধারা কঠোরভাবে কার্যকর করা হবে।
রাওয়ালপিন্ডি পুলিশ শহরের আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে অন্তত তিন হাজার নিরাপত্তা সদস্য মোতায়েন করেছে। আদিয়ালা জেলের দিকে যাওয়া প্রধান রাস্তাগুলোতে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে, এবং ইসলামাবাদে রেড জোন এলাকায় প্রবেশে আংশিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। সার্বিক পরিস্থিতি ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, এই মানবিক সাক্ষাৎ একদিকে যেমন পরিবারের জন্য স্বস্তি এনেছে, তেমনই অন্যদিকে তা পাকিস্তানের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা ও নিরাপত্তা উদ্বেগকেও আরও বাড়িয়ে তুলেছে।



















