close
লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!
দিনাজপুরের হাকিমপুর থানায় পুলিশের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ
দিনাজপুরের হাকিমপুর থানার ওসি (তদন্ত) এসএম জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে এক যুবককে ধরে নেওয়ার ভয় দেখিয়ে ৬০ হাজার টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। গত শনিবার উপজেলার ইসবপুর গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটে। ভুক্তভোগী আমিনুল ইসলাম রভি এই অভিযোগ করেন, যিনি পেশায় একজন মাছ চাষি ও ব্যবসায়ী।
ঘটনার বিস্তারিত
আমিনুল ইসলাম জানান, গত শনিবার দুপুরে ওসি (তদন্ত) এসএম জাহাঙ্গীর আলম ফোর্স নিয়ে তার বাড়িতে উপস্থিত হন। কোনো মামলা বা অভিযোগ ছাড়াই তাকে আটক করার হুমকি দেন এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে ৬০ হাজার টাকা দাবি করেন। তিনি বলেন, "যদি টাকা না দিই, তাহলে আমাকে থানায় নিয়ে যাওয়া হবে।" বাধ্য হয়ে স্থানীয় রাজ্জাক নামে একজনের মাধ্যমে পুলিশকে টাকা প্রদান করেন।
আমিনুলের স্ত্রী বলেন, “শনিবার দুপুরে পুলিশ আমাদের বাড়িতে আসে এবং অত্যন্ত খারাপ আচরণ করে। তারা আমার স্বামীকে ধরে নিয়ে যাবে বলে ভয় দেখায়। অনেক চাপের মধ্যে আমরা রাজ্জাকের মাধ্যমে ৬০ হাজার টাকা তাদের হাতে দিই। টাকা পাওয়ার পর তারা চলে যায়।”
প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য
স্থানীয় যুবক শাহিন বলেন, “আমিনুলের বাড়িতে পুলিশ দেখে আমি সেখানে যাই। তাদের হাতে টাকা নিতে দেখি। পরে পুলিশ টাকা নিয়ে চলে যায়।”
স্থানীয় আরও কয়েকজন বলেন, "আমিনুল একজন সৎ মানুষ। কিন্তু পুলিশের এমন আচরণ আমাদের হতাশ করেছে। দেশে কি আইন নেই? একজন সাধারণ মানুষকে এভাবে হয়রানি করা কি গ্রহণযোগ্য?"
রাজ্জাক, যিনি টাকা হস্তান্তরের দায়িত্বে ছিলেন, বলেন, “আমিনুলদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে আমি পুলিশকে দিয়েছি। পরে তারা চলে গেছে।”
পুলিশের প্রতিক্রিয়া
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি (তদন্ত) এসএম জাহাঙ্গীর আলম বলেন, "এসব কথা ফোনে হবে না। থানায় আসুন।"
হাকিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুজন মিঞা বলেন, “শনিবার আমিনুলের বাড়িতে ওসি (তদন্ত) অভিযানে যান আসামি ধরার জন্য। টাকা নেওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে যদি এমন কিছু ঘটে থাকে, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
হাকিমপুর-ঘোড়াঘাট সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আ ন ম নিয়ামতউল্লাহ বলেন, “এখনো কেউ এ বিষয়ে অফিসিয়ালি অভিযোগ করেনি। তবে অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
সাধারণ মানুষের উদ্বেগ
এ ঘটনার পর স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তারা বলছেন, এমন ঘটনা যদি সত্য হয়, তাহলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা প্রশ্নবিদ্ধ হবে।
এখন অপেক্ষা, ভুক্তভোগীদের অভিযোগ তদন্ত করে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তবে এমন অভিযোগ পুলিশ প্রশাসনের জন্য একটি গুরুতর বার্তা বহন করে।
Aucun commentaire trouvé