ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের ঐতিহ্যবাহী শিল্পনগরী ভালুকার অদূরে এশিয়ান হাইওয়ের পাশে অবস্থিত ধীতপুর খেলার মাঠকে মিনি স্টেডিয়ামে রূপান্তরের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় ক্রীড়ামোদী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা।
ভালুকা উপজেলার ধীতপুর ইউনিয়নের প্রায় ২০-২৫ একর সরকারি জমির ওপর অবস্থিত এ মাঠটি দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। মাঠটির পারিপার্শ্বিক অবস্থান, প্রাকৃতিক পরিবেশ এবং অব্যবহৃত সরকারি জমির প্রাপ্যতা-সব কিছু মিলিয়ে এটিকে একটি পূর্ণাঙ্গ মিনি স্টেডিয়ামে রূপান্তর করার দাবি জানানো হয়েছে সংশ্লিষ্টদের পক্ষ থেকে।
ভালুকা উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক এবং দক্ষিণ ময়মনসিংহ জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি মুহাম্মদ রকিবুল হাসান খান রাসেল এক লিখিত বিবৃতিতে বলেন, “এই মাঠে প্রতি বছর নিয়মিত ফুটবল, ক্রিকেটসহ নানা ধরনের খেলাধুলা এবং নাট্য ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। মাঠটির স্থায়ী উন্নয়নের মাধ্যমে ভালুকা, গফরগাঁও, টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জসহ বৃহত্তর দক্ষিণ ময়মনসিংহ অঞ্চলের ক্রীড়াপ্রেমী তরুণদের জন্য এটি হয়ে উঠতে পারে একটি আধুনিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের প্রস্তাব- প্রথম ধাপে একটি স্থায়ী মঞ্চ, দ্বিতীয় ধাপে খেলোয়াড়দের আবাসনের জন্য একটি ভবন, তৃতীয় ধাপে ধাপে ধাপে ১০০ ও ২০০ ফুট দৈর্ঘ্যের গ্যালারি নির্মাণ করে পর্যায়ক্রমে একটি আধুনিক স্টেডিয়াম গড়ে তোলা। জমি অধিগ্রহণের প্রয়োজন নেই, কারণ এটি পুরোপুরি সরকারি সম্পত্তি।”
উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, ইতোমধ্যে ভালুকা উপজেলার সুযোগ্য মানবিক ও ক্রীড়ানুরাগী নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব হাসান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ মাঠটির পূর্ব পাশে নদীভাঙন প্রতিরোধে দুই লক্ষ টাকা বরাদ্দ দিয়ে প্রয়োজনীয় কাজ সম্পন্ন করেছেন, যা মাঠ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
স্থানীয়দের মতে, মাঠটির পারিপার্শ্বিক পরিবেশও এটি খেলাধুলার উপযোগী করে তুলেছে। নদীর পাড় ঘেঁষা মনোরম দৃশ্য ও নিরিবিলি পরিবেশে মাঠটি সারা বছর খেলাধুলার উপযুক্ত। আশেপাশে কোনো বড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না থাকায় মাঠ ব্যবহারেও সময়সীমা বা ব্যবহারে কোনো সমস্যা নেই।
মুহাম্মদ রকিবুল হাসান খান রাসেল, ভালুকা উপজেলার সকল সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি এবং রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, “আমাদের প্রাণের দাবি-ধীতপুর খেলার মাঠকে একটি আধুনিক স্টেডিয়ামে রূপান্তরের জন্য সর্বাত্মক উদ্যোগ গ্রহণ করা হোক। এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে এটি ক্রীড়াঙ্গনে একটি ইতিহাস গড়ে তুলবে।”