ঢাকা: ধানমন্ডির ঐতিহাসিক ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাঙা বাড়ির নিচে পাওয়া গেল রহস্যজনক হাড়গোড়! এটি মানুষের নাকি অন্য কোনো প্রাণীর, তা জানতে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে ল্যাবে।
হাড়গোড় উদ্ধারের ঘটনা
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সিআইডির ফরেনসিক টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে হাড়গোড়সহ এক সেট জামা ও একজোড়া জুতা সংগ্রহ করে। ধানমন্ডি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলী আহমেদ মাসুদ নিশ্চিত করেছেন যে, এসব আলামত পরীক্ষা করে দেখা হবে হাড়গোড়টি মানুষের কিনা এবং এর পেছনে কোনো অপরাধের সংযোগ আছে কি না।
সিআইডির বক্তব্য
সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসিম উদ্দিন খান বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু নমুনা সংগ্রহ করেছি, যার মধ্যে রয়েছে হাড়গোড়, জামাকাপড় ও জুতা। এগুলো ফরেনসিক টেস্টের মাধ্যমে বিশ্লেষণ করা হবে। যদি কোনো রহস্যজনক বিষয় পাওয়া যায়, তাহলে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
কীভাবে পাওয়া গেল এই হাড়গোড়?
গত রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের ভবনের বেজমেন্টে গোপন বন্দিশালা থাকার সন্দেহে পানি সরানোর কাজ করে ফায়ার সার্ভিস। তবে পানি সরানোর পর সেখানে কিছুই পাওয়া যায়নি। পরদিন সকালে সিআইডি এসে নিচতলা থেকে এই হাড়গোড় ও অন্যান্য আলামত সংগ্রহ করে।
পেছনের ঘটনা: কেন ভাঙা হলো ৩২ নম্বর বাড়ি?
গত ৫ ফেব্রুয়ারি ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনলাইন ভাষণকে কেন্দ্র করে ক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর বাড়ি ভেঙে ফেলে। এই ঘটনার পর থেকেই জায়গাটি ঘিরে নানা আলোচনা ও তদন্ত চলছে। এখন নতুন করে পাওয়া হাড়গোড় আরও রহস্য বাড়িয়ে তুলেছে।
জনমনে উদ্বেগ, তদন্তের অপেক্ষা
এই রহস্যজনক হাড়গোড় উদ্ধারের ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে নানা জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে। অনেকে মনে করছেন, এটি কোনো পুরনো হত্যাকাণ্ডের প্রমাণ হতে পারে। আবার কেউ কেউ বলছেন, এটি পুরনো কোনো অবশিষ্টাংশও হতে পারে। তবে আসল সত্য উদঘাটন হবে সিআইডির পরীক্ষার পর।
সকলের নজর এখন তদন্তের ফলাফলের দিকে। সিআইডির রিপোর্ট প্রকাশের পর জানা যাবে, ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের নিচে লুকিয়ে থাকা রহস্যের আসল সত্য কী!
Tidak ada komentar yang ditemukan