ঢাকার সাত কলেজে ভর্তি জটিলতা: শিক্ষার্থীদের অনিশ্চয়তা বাড়ছে

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা ঢাকার সাতটি কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি না করার সিদ্ধান্ত নতুন এক অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে। ইতোমধ্যে এসব কলেজে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা ঢাকার সাতটি কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি না করার সিদ্ধান্ত নতুন এক অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে। ইতোমধ্যে এসব কলেজে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে ভর্তি পরীক্ষার আবেদন শুরু হলেও এখনো স্পষ্ট করা হয়নি, ভর্তি পরীক্ষা কাদের অধীনে অনুষ্ঠিত হবে। ফলে হাজার হাজার শিক্ষার্থী ও অভিভাবক দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। ভর্তি প্রক্রিয়ায় অনিশ্চয়তা এই সাত কলেজের জন্য নতুন একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। তবে এটি বাস্তবায়ন সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। এ সংক্রান্ত কমিটি এখনো সুপারিশ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘মডেল’ নির্ধারণ করতে পারেনি। ধারণা করা হচ্ছে, সুপারিশ চূড়ান্ত করতে আরও এক মাসের মতো সময় লাগতে পারে। এই দীর্ঘসূত্রিতার কারণে সাত কলেজের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে চরম অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে সাত কলেজে স্নাতক ভর্তি আবেদন ৬ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়, যা চলবে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এপ্রিল মাসে ভর্তি পরীক্ষার তারিখ নির্ধারিত থাকলেও, বর্তমান পরিস্থিতিতে এটি নিয়েও সংশয় দেখা দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্তি নিয়ে দীর্ঘদিনের সংকট গত ২৭ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ঘোষণা দেয়, সাত কলেজ আর তাদের অধিভুক্ত থাকছে না। ২০১৭ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ঢাবির অধীনে আনা হয় এসব কলেজকে। এই কলেজগুলো হলো: ঢাকা কলেজ ইডেন মহিলা কলেজ সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ কবি নজরুল সরকারি কলেজ বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ সরকারি বাঙলা কলেজ সরকারি তিতুমীর কলেজ এসব কলেজে বর্তমানে প্রায় দুই লাখ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে। দীর্ঘ আট বছরেও শিক্ষার মানোন্নয়ন, পরীক্ষার সময়সূচি নির্ধারণসহ প্রশাসনিক নানা সমস্যার সমাধান হয়নি। ফলে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন লেগেই ছিল। কর্তৃপক্ষের বক্তব্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “এখনও ভর্তি আবেদন গ্রহণ চলছে। আজকের (বুধবার) সভায় ভর্তি আবেদন ফি ও তথ্য সংরক্ষণ নিয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে।” তবে শিক্ষার্থীরা দ্রুত একটি স্পষ্ট নির্দেশনার দাবি তুলেছেন। শিক্ষার্থীদের উদ্বেগ এই অনিশ্চিত অবস্থার কারণে শিক্ষার্থীরা মানসিক চাপে রয়েছেন। অনেকেই জানতে চাচ্ছেন, নতুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হলে কি তারা সেখানেই পড়বেন নাকি অন্য কোনো ব্যবস্থায় পড়াশোনা চলবে। সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হুট করে সাত কলেজকে ঢাবির অধীনে আনা এবং আবার অধিভুক্তি বাতিল করা—দুই ক্ষেত্রেই প্রশাসনিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। তাই দ্রুত অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা গ্রহণ করে এই সংকট সমাধান করা জরুরি।সাত কলেজের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে এখন সময়ের দাবি হলো দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ শিক্ষার্থীরা যেন ক্ষতির সম্মুখীন না হয়, সেদিকে সরকারের বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন। নয়তো একদিকে ভর্তি প্রক্রিয়া যেমন অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়বে, তেমনি হাজার হাজার শিক্ষার্থীর শিক্ষা জীবন হুমকির মুখে পড়বে।
No comments found


News Card Generator