ঢাকা, ১৮ জুলাই ২০২৫ — ঢাকার বাড্ডায় আজ ৩৬ জুলাইয়ের শিক্ষা আন্দোলনের স্মরণে এক বিশাল গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গণঅধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর উত্তর-এর উদ্যোগে আয়োজিত এই সমাবেশে শত শত তরুণ অংশগ্রহণ করে। বক্তারা শিক্ষার্থীদের অধিকার ও ন্যায়বিচারের দাবিতে তাদের সংগ্রাম অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।
সমাবেশের প্রধান বক্তা ছিলেন সাবেক ডাকসু ভিপি ও গণঅধিকার পরিষদের সদস্যসচিব নুরুল হক নূর। তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে ছাত্র আন্দোলনের গুরুত্ব এবং চলমান লড়াইয়ের কথাও। নূর বলেন, “এই রাষ্ট্র শিক্ষার্থীদের কণ্ঠরোধ করতে চেয়েছিল, কিন্তু তারা দেখিয়ে দিয়েছে কীভাবে প্রতিবাদের আগুন জ্বালাতে হয়। ৩৬ জুলাই কোনো তারিখ নয়—এটি একটি বিপ্লবের নাম। এই লড়াই এখনও শেষ হয়নি।”
ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক মোঃ রাশেদ খান বলেন, “ছাত্র-তরুণদের ঘুম ভাঙছে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে যারা লড়ছে, তারাই বাংলাদেশ বদলে দেবে।” সদস্যসচিব মোঃ জিল্লুর রহমান জুয়েল যোগ করেন, “আজকের সমাবেশ কোনো আনুষ্ঠানিকতা নয়—এটি একটি প্রতিরোধের বার্তা, একটি অঙ্গীকার।”
৩৬ জুলাইয়ের শিক্ষা আন্দোলন বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের সংগ্রামের একটি প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই আন্দোলন শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটি নতুন চেতনার সঞ্চার করেছে, যা অন্যায়ের বিরুদ্ধে তাদের লড়াইয়ে প্রেরণা জোগায়। সমাবেশের বক্তারা শিক্ষার্থীদের এই চেতনাকে জীবিত রাখতে এবং তা আরও ছড়িয়ে দিতে আহ্বান জানিয়েছেন।
সমাবেশ শেষে বাড্ডা থেকে শুরু হয় একটি বিশাল মিছিল। তরুণদের গলায় গর্জে ওঠে স্লোগান—“ছাত্র অধিকার কেড়ে নিতে পারবে না কেউ!” এবং “৩৬ জুলাই শুধু তারিখ নয়, এটি একটি বিপ্লবের নাম!”
সমাবেশে অংশগ্রহণকারী অনেক তরুণ তাদের অনুভূতি প্রকাশ করেছেন। একজন তরুণ বলেন, “দমন-পীড়ন নয়, আমরা চাই ন্যায্যতা, অধিকার আর সুবিচার!” এই গণসমাবেশ প্রমাণ করে যে ৩৬ জুলাইয়ের চেতনা এখনও জীবন্ত এবং প্রাসঙ্গিক।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, এই ধরনের আন্দোলন শিক্ষার্থীদের মধ্যে রাজনৈতিক চেতনার বিকাশ ঘটায় এবং তাদের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে আরও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ করে তোলে। ভবিষ্যতে এ ধরনের সমাবেশ এবং আন্দোলন দেশের শিক্ষানীতি এবং রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে।