ঢাকায় সোমবার, ৭ এপ্রিল, এক উত্তাল বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে মার্কিন দূতাবাসের সামনে, যা ছিল গাজায় ইসরাইলি বাহিনীর হামলার প্রতিবাদে এবং ফিলিস্তিনিদের প্রতি বিশ্বজনীন সংহতির অঙ্গ হিসেবে। বেলা পৌনে ১২টার দিকে প্রগতি সারণি থেকে এক বিশাল মিছিল শুরু হয়ে, বিক্ষোভকারীরা মার্কিন দূতাবাসের সামনে এসে সড়কে অবস্থান নেন। তাদের মধ্যে অনেকেই প্লাকার্ড হাতে ছিলেন, যেখানে "ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা" এবং "ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রতিবাদ" বিষয়ক স্লোগান লেখা ছিল।
এসময় দূতাবাসের নিরাপত্তার জন্য সেখানে সেনা ও পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। তারা প্রগতি সারণি এলাকায় আসা প্রতিবাদকারীদের তল্লাশি করছিলেন এবং সতর্ক অবস্থায় ছিলেন। দূতাবাসের সামনে থাকা ফুটপাতে কিংবা সড়কে কাউকে দাঁড়াতে দেওয়া হচ্ছিল না, যাতে কোনো অশান্তি সৃষ্টি না হয়।
বিক্ষোভের কারণে প্রগতি সারণি সড়কে যান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে স্থানীয় এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়, যা কিছু সময়ের জন্য বেশ অস্বস্তিকর হয়ে পড়ে।
এ বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীরা বিভিন্ন প্লাকার্ড ও ব্যানার হাতে নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে দেন এবং ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি সহানুভূতি ও সমর্থন প্রদর্শন করেন। এই প্রতিবাদ সমাবেশের মাধ্যমে তারা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে গাজার পরিস্থিতি নিয়ে আরো গভীরভাবে চিন্তা করার জন্য উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করেন।
এ ধরনের প্রতিবাদী সমাবেশ, বিশেষ করে একটি আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়ে, দেশের মানুষের মধ্যে বিশ্বজনীন মানবাধিকার এবং শান্তির প্রতি সচেতনতা বৃদ্ধি করে। বিশেষত, ফিলিস্তিনের সংকটের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করাটির গুরুত্ব অপরিসীম বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে, এই বিক্ষোভের পর বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং সামাজিক সংগঠনগুলোও নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে এবং শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের মাধ্যমে গাজার জনগণের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।