close
ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!
ঢাকা কলেজ এলাকায় মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) রাত ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে এক ঘণ্টায় সাতটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণগুলো কলেজের মূল ফটক, মিরপুর রোডের বিভিন্ন স্থানে এবং তেল পাম্পের সামনে ঘটে। এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া না গেলেও শিক্ষার্থী ও পথচারীদের মধ্যে চরম আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।
বিস্ফোরণের পেছনে পদবঞ্চিতদের বিক্ষোভ
সন্ধ্যা থেকেই ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছিলেন। বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন ছাত্রদলের সহ-সভাপতি তাজবিউল হাসান, আবির রায়হান ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান।
প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীদের মতে, বিক্ষোভের এক পর্যায়ে মূল ফটকের সামনে দুইটি, নায়েমের গলি ও মিরপুর রোডে চারটি এবং তেল পাম্পের সামনে একটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়।
পদবঞ্চিত এক নেতা জানান, "আমরা দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতি করছি, কিন্তু পদবঞ্চিত হওয়ার কারণে নতুন কমিটিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছি। আমাদের অবস্থান কর্মসূচির মাঝেই দুর্বৃত্তরা বিস্ফোরণ ঘটায়। আমরা তাদের চিনতে পারিনি, তবে নীলক্ষেতের দিকে পালিয়ে যেতে দেখেছি।"
দায় স্বীকারের অভিযোগ
ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তারেক জামিল অভিযোগ করেন, "দুর্বৃত্তরা মোটরসাইকেল নিয়ে এসে আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। আমরা রাকিব-নাছিরের অনুসারীদের দেখতে পেয়েছি, তবে তাদের ধাওয়া করে ধরতে পারিনি।"
ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক পিয়াল হাসান বলেন, "বিক্ষোভকারীদের মধ্যে কিছু পরিশ্রমী কর্মী রয়েছে, যাদের কমিটিতে রাখা যায়নি। অনুপ্রবেশকারীরা হয়তো এই পরিস্থিতি কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।"
প্রশাসনের প্রতিক্রিয়া
ঢাকা কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াস বলেন, "বিষয়টি আমাদের জানা ছিল না। তবে আমরা থানার ওসিকে জানিয়েছি, নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে।"
নিউমার্কেট থানার ওসি মোহসেন উদ্দীন বলেন, "ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের নতুন কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে পদবঞ্চিতদের বিক্ষোভের পর ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বুধবার সকাল থেকে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন থাকবে।"
উত্তেজনার আবহ
সার্বিক পরিস্থিতি ঘিরে ঢাকা কলেজ ও সংলগ্ন এলাকায় আতঙ্ক ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিস্ফোরণের পেছনে কারা জড়িত তা নিশ্চিত করতে পুলিশ তদন্ত চালাচ্ছে। তবে এই ঘটনার ফলে ঢাকা কলেজ ক্যাম্পাসে নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে।
Aucun commentaire trouvé