close
ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনিক অদক্ষতা: ৭ কলেজের পরিচালনায় চ্যালেঞ্জ, মন্তব্য অধ্যাপক সেলিম উল্লাহ


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজ পরিচালনার জন্য প্রশাসনিক দক্ষতা ও লোকবল না থাকার বিষয়টি উত্থাপন করেছেন ঢাকা কলেজ ও কবি নজরুল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক আই কে সেলিম উল্লাহ খোন্দকার। তার মতে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক প্রযুক্তি ও প্রশাসনিক সক্ষমতার অভাব রয়েছে, যা এ কলেজগুলোর কার্যক্রম পরিচালনায় বাধার সৃষ্টি করছে।
এ বিষয়ে সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্টে তিনি জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এখনও পুরোনো পদ্ধতির ওপর নির্ভরশীল এবং প্রশাসনিক কাঠামো অনেক পিছিয়ে আছে। একই সঙ্গে তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নত ব্যবস্থাপনা এবং সাত কলেজের নতুন পদ্ধতির উদাহরণ দেন।
অধ্যাপক সেলিম উল্লাহ খোন্দকার তার পোস্টে বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এখনো আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে পিছিয়ে আছে। সাত কলেজের সাফল্য তা স্পষ্ট করে দেখিয়েছে, কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এখনও অনেক চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে।” তিনি আরও যোগ করেন, “৭ কলেজের পরীক্ষার ফলাফল তৈরির প্রক্রিয়া অত্যন্ত ধীর গতির, যেখানে প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থীর ফলাফল ম্যানুয়ালি তৈরি করা হয়। অথচ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অনেক বেশি দক্ষতার সাথে লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থীর ফলাফল দ্রুত তৈরি করে থাকে।”
এছাড়া তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, "৭ কলেজের জন্য আধুনিক প্রযুক্তি যেমন OMR সিস্টেমের মাধ্যমে পরীক্ষার খাতা চিহ্নিত করা হয়েছিল, কিন্তু ৬ বছর ধরে তা বাস্তবায়ন হয়নি, যার ফলে গতিশীলতার অভাব হচ্ছে।"
অধ্যাপক সেলিম উল্লাহ খোন্দকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ও সিন্ডিকেটের সাবেক সদস্য এবং শিক্ষা ক্যাডার সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচিত সভাপতি ও মহাসচিব ছিলেন। তিনি বর্তমানে বাংলাদেশ স্কাউটের ন্যাশনাল কমিশনার হিসেবে ভারতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
তিনি আরও জানান, "বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাতে প্রশাসনিক দক্ষতা এবং আধুনিক প্রযুক্তির অভাব থাকার কারণে সাত কলেজের কার্যক্রম পরিচালনা করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা নিজের আর্থিক সুবিধার কথা চিন্তা করে, পুরোনো পদ্ধতি অবলম্বন করছেন।"
অধ্যাপক সেলিম উল্লাহ খোন্দকারের এই মন্তব্যগুলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোর বর্তমান পরিস্থিতির উপর একটি বড় প্রশ্নবোধক চিহ্ন সৃষ্টি করেছে, এবং এর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক সক্ষমতা ও আধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয়েছে।
کوئی تبصرہ نہیں ملا