close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

ধ র্ষ ণে র নাটক সাজিয়ে নিজেই ফেঁসে গেলেন নারী

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজের মেয়েকে ধর্ষণের নাটকে ব্যবহার করেন পটুয়াখালীর এক নারী। তদন্তে মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় আদালতের নির্দেশে তাকে পাঠানো হয়েছে কারাগারে।....

পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার মুরাদিয়া ইউনিয়নে ঘটে যাওয়া একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনায় ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজের মেয়েকে ধর্ষণের শিকার বলে সাজিয়ে মামলা করেছিলেন কোহিনুর বেগম নামের এক নারী। কিন্তু তদন্তে বেরিয়ে আসে পুরো ঘটনার নির্মম সত্য। নাটক সাজিয়ে উল্টো নিজেই আইন-আদালতের ফাঁদে পড়ে যান ওই নারী।

ঘটনার সূত্রপাত ২০২৩ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর। উপজেলার ৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা কোহিনুর বেগম দুমকি থানায় মামলা করেন যে, দুর্যোগপূর্ণ এক রাতে তার প্রতিবন্ধী মেয়েকে এক প্রতিবেশী যুবক ধর্ষণ করেছেন, তাও আবার আরেক প্রতিবেশীর সহায়তায়। মামলা দায়েরের পরপরই পুলিশ তদন্তে নামে এবং মেয়েটির মেডিকেল পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু পরীক্ষায় ধর্ষণের কোনো প্রমাণ মেলেনি।

তদন্ত শেষে পুলিশের পক্ষ থেকে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হলে আদালত দুই আসামিকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেন। এতে স্পষ্ট হয়, পুরো ঘটনা সাজানো। তবে এখানেই শেষ হয়নি ঘটনার নাটকীয়তা। ঘটনার প্রায় এক বছর পর, ২০২৪ সালের ৯ সেপ্টেম্বর, ওই ভুক্তভোগী যুবক মানহানি ও হয়রানির অভিযোগ এনে কোহিনুর বেগমসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন—কোহিনুরের স্বামী কামাল শরীফ, তাদের দুই মেয়ে, স্থানীয় ইউপি সদস্য নাসির হাওলাদার, রেবেকা বেগম এবং এলাকার চৌকিদার মিজানুর রহমান। অভিযোগে বলা হয়, জমি সংক্রান্ত পুরনো বিরোধ এবং ইউপি নির্বাচনে ভিন্ন পক্ষে অবস্থান নেওয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতেই এই নাটক সাজানো হয়েছিল।

রোববার (২২ জুন) দুপুরে পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোসা. নিলুফার ইয়াসমিন জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কোহিনুর বেগমকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

স্থানীয়রা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরেই কোহিনুর বেগমের সঙ্গে মামলার প্রধান আসামির পরিবারের জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। তাছাড়া ইউপি নির্বাচনে সমর্থন না দেওয়ার বিষয়টিও ছিল বিবাদে ইন্ধন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য নাসির হাওলাদার, যিনি মামলার অন্যতম অভিযুক্ত, তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও একাধিকবার ফোন করেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

এই ঘটনা নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে, মিথ্যা মামলার অপব্যবহার কিভাবে নিরীহ মানুষকে হয়রানির শিকার করে তোলে এবং কীভাবে এ ধরনের অপচেষ্টা শেষ পর্যন্ত ধরা পড়ে। আদালতের রায়ের মাধ্যমে যেমন সত্যের বিজয় হয়েছে, তেমনি এটি একটি বার্তা হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, আইনকে ফাঁকি দিয়ে মিথ্যা নাটক করে কেউ পার পাবে না।

Nenhum comentário encontrado


News Card Generator