দেশনায়ক তারেক রহমানের আর্থিক সহায়তা নিয়ে সিয়ামের বাড়িতে মীর হেলাল

গত শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার সিয়ামের বাড়িতে গিয়ে মীর হেলাল দেশনায়ক তারেক রহমানের পক্ষ থেকে সিয়ামের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সহায়তা পৌঁছান। সিয়াম, যিনি ৫ আগস্ট স্বৈরাচার পতনের দিনে আওয়ামী পুলিশ লীগের গুলিতে আহত হয়েছিলেন, তার জন্য এই সহায়তা পাঠানো হয়। "দেশনায়ক সবসময় গণতন্ত্রের জন্য লড়াইকারী নেতাদের পাশে আছেন" বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর হেলাল বলেন, "বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যারা আহত বা নিহত হয়েছেন, তাদের পরিবারে দেশনায়ক তারেক রহমান সবসময় সহায়তা পৌঁছান এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত রাখবেন।" তিনি আরও যোগ করেন, "এটা স্পষ্ট যে, বিএনপির নেতাকর্মীদের গুম ও খুনের ঘটনায় দেশনায়ক সবসময় তাদের পরিবারের পাশে ছিলেন এবং তিনি কখনও তাদের অবহেলা করবেন না।" মীর হেলাল তীব্র সমালোচনা করেন কিছু ব্যক্তির বিরুদ্ধে, যারা আন্দোলনের সফলতাকে পুঁজি করে নিজেদের স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, "গণতন্ত্রের জন্য দেশের ছাত্র-জনতা জীবন দিয়েছে। আমরা যদি একত্রিত না হই, তাহলে ষড়যন্ত্রকারীরা আমাদের ঐক্যকে নষ্ট করার চেষ্টা করবে।" দেশের ভবিষ্যৎ গঠনে ঐক্যের গুরুত্ব এসময় মীর হেলাল আরও বলেন, "গণতান্ত্রিক সরকার গঠন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। যদি আমরা সময়ক্ষেপণ করি, তাহলে আমাদের শক্তিকে ভঙ্গুর করা হবে।" তিনি দেশবাসীকে ধৈর্য ধারণ করার এবং দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে একযোগে চলার আহ্বান জানান। সঙ্গে ছিলেন বেশ কয়েকজন বিএনপি নেতৃবৃন্দ এসময় চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুর মোহাম্মদ, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপি সদস্য ও হাটহাজারী পৌরসভা বিএনপির আহ্বায়ক জাকের হোসেন, হাটহাজারী উপজেলা বিএনপি সদস্য সচিব গিয়াস উদ্দীন চেয়ারম্যান, ডাক্তার রফিকুল আলম চৌধুরী, হাটহাজারী পৌরসভা বিএনপি সদস্য সচিব অহিদুল আলম অহিদু, পৌরসভা বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এম,এ শুক্কুর মেম্বার, মেখল বিএনপি সভাপতি ইসমাঈল, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আকবর আলী, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মনিরুল আলম জনি, হাটহাজারী উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক তকিবুল হাসান চৌধুরী তকি, সাধারণ সম্পাদক জি,এম, সাইফুল সহ আরও বেশ কয়েকজন নেতা উপস্থিত ছিলেন। এ ঘটনা যে শুধু একটি সহায়তার মুহূর্ত ছিল না, বরং এটি দেশের গণতন্ত্র, সমতার ও মানবাধিকার রক্ষায় একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা, তা প্রমাণিত হলো এই ঐতিহাসিক মুহূর্তে।