close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

দেশজুড়ে ‘মামলা বাণিজ্যের’ ভয়ঙ্কর চক্র: নিরপরাধ মানুষ এখন কোটি টাকার টার্গেট!

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ঢাকার ধামরাইয়ে ক্যান্সারে মারা যাওয়া মনোয়ার হোসেনকে হত্যার অভিযোগে তার বোন জেসমিন সুলতানা একটি মামলা করার মাধ্যমে শুরু হয়েছে চাঞ্চল্যকর ‘মামলা বাণিজ্যের’ গল্প।
ঢাকার ধামরাইয়ে ক্যান্সারে মারা যাওয়া মনোয়ার হোসেনকে হত্যার অভিযোগে তার বোন জেসমিন সুলতানা একটি মামলা করার মাধ্যমে শুরু হয়েছে চাঞ্চল্যকর ‘মামলা বাণিজ্যের’ গল্প। বানোয়াট তথ্য দিয়ে এই মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে ধামরাইয়ের ধনাঢ্য ব্যক্তি, পুলিশ সদস্য এবং বাদীর সাবেক স্বামীসহ ৫২ জনকে। জানা গেছে, আসামিদের নাম বাদ দেওয়ার নামে একটি অসাধু চক্র লক্ষাধিক টাকা দাবি করছে। ধামরাইয়ের পাশাপাশি আশুলিয়া, সিলেটসহ বিভিন্ন জায়গায় এমন ঘটনা বাড়ছে। ‘মামলা বাণিজ্য’ চক্র শুধু ভুয়া মামলা করেই ক্ষান্ত নয়; বরং আসামিদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের নতুন নতুন কৌশল বের করছে। ঘটনাগুলোর বিবরণ গত বছর ঢাকার আশুলিয়ায়, পিতা-পুত্র মিলে একটি চক্র পরিচালনা করছিল। ভাড়াটিয়া এক নারীকে দিয়ে ভুয়া মামলা করিয়ে বিপুল অর্থ হাতানোর চেষ্টা করা হয়। শেষ পর্যন্ত পুলিশ তদন্তে এটি বানোয়াট প্রমাণ করে এবং দুই চক্র সদস্যকে গ্রেপ্তার করে। ধামরাইয়ের মামলায় মনোয়ার হোসেনকে ২০১৪ সালের ঘটনায় আহত দেখিয়ে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। অথচ তিনি ২০১৮ সালে ক্যান্সারে মারা গেছেন। স্থানীয়রা, এমনকি মনোয়ারের পরিবারও বলছে, এটি সম্পূর্ণ সাজানো মামলা। এদিকে, সিলেটের গোলাপগঞ্জে এক ব্যক্তির স্বাক্ষর জাল করে মামলা দায়েরের ঘটনা সামনে এসেছে। বাদী নিজেই জানতেন না যে তিনি মামলার আবেদন করেছেন। পুলিশ ও আইনজীবীদের ভূমিকা অসাধু পুলিশ সদস্য এবং আইনজীবীরাও এই চক্রের সঙ্গে জড়িত। তদন্তের নামে চাঁদাবাজি এবং মামলায় আসামি যোগ বা বাদ দেওয়ার মাধ্যমে তারা লক্ষাধিক টাকা আদায় করছে। তবে কিছু জায়গায় পুলিশ চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তার করলেও বেশিরভাগ থানায় এই বিষয়ে রহস্যজনক নীরবতা রয়েছে। সরকারের অবস্থান মামলা বাণিজ্যের এই প্রবণতা রোধে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা বলেছেন, বানোয়াট মামলাগুলো তদন্তের সময় বিশেষ পর্যালোচনা করা হবে। তবে এখন পর্যন্ত চক্রের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলছে সাধারণ মানুষ। দেশজুড়ে এই চক্র মানুষের জীবনে ভয়াবহ আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। এটি শুধু অর্থ আদায়ের মাধ্যম নয়, বরং রাজনৈতিক প্রতিহিংসা এবং সম্পত্তি দখলের হাতিয়ার হিসেবেও ব্যবহৃত হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকার চক্রের বিরুদ্ধে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেবে বলে প্রত্যাশা জনগণের।
Inga kommentarer hittades


News Card Generator