close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

দেশের জন্য প্রফেসর ইউনূসের পাশে দাঁড়ানোর জন্য পিনাকী-ইলিয়াস-কনক সারোয়ার একসাথে ঢাকা এয়ারপোর্টে ল্যান্ড করবেন ....

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
দেশের রাজনীতিতে নাটকীয় মোড়! সংকটকালে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পাশে দাঁড়াতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ থেকে একযোগে দেশে ফিরছেন তিন জনপ্রিয় প্রবাসী কণ্ঠস্বর—পিনাকী ভট্টাচার্য, ইলিয়াস হোসেন ও কনক সরোয়ার।ht..

ফিরে আসছেন প্রতিবাদী কণ্ঠগুলো: ইউনূস ইস্যুতে দেশে তোলপাড়ের আভাস

দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি যখন উত্তাল, তখন নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে চলমান মামলাগুলো ও তার প্রতি সরকারপক্ষের অবস্থান নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলেও চলছে আলোচনা-সমালোচনা। ঠিক এই প্রেক্ষাপটে প্রবাসে অবস্থানরত তিন আলোচিত কণ্ঠস্বর—পিনাকী ভট্টাচার্য, সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব কনক সরোয়ার—ঘোষণা দিয়েছেন একসাথে বাংলাদেশে ফেরার। উদ্দেশ্য একটাই—ড. ইউনূসের পাশে দাঁড়ানো।

এই ঘোষণা এসেছে সরাসরি ইলিয়াস হোসেনের একটি ফেসবুক পোস্ট থেকে। তিনি লেখেন,
“দেশের জন্য প্রয়োজন হয় তবে প্রফেসর উইনুসের পাশে দাঁড়ানোর জন্য পিনাকী, ইলিয়াস, কনক সরোয়ার একসাথে ঢাকা এয়ারপোর্টে ল্যান্ড করবে।”

এই পোস্ট ছড়িয়ে পড়তেই নেট দুনিয়ায় শুরু হয় ব্যাপক আলোড়ন। বিশ্লেষক ও সচেতন মহলের মধ্যে প্রশ্ন উঠছে—তাদের এই সিদ্ধান্ত কি শুধুই একজন ব্যক্তির প্রতি সংহতি, নাকি এটি একটি বৃহত্তর রাজনৈতিক বার্তা?


তাদের আগমনে কী বার্তা পাচ্ছে সরকার?

বিশ্লেষকদের মতে, এই তিন ব্যক্তির সম্মিলিত প্রত্যাবর্তন কেবল ড. ইউনূসের প্রতি সমর্থন নয়, বরং সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনার নতুন এক ধারা শুরু হতে চলেছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, “পিনাকী, ইলিয়াস ও কনক সরোয়ার—তিনজনই সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া সাহসী কণ্ঠস্বর। তারা একসাথে ফিরে আসা মানেই, রাজনৈতিক প্রতিরোধের নতুন অধ্যায়।”

প্রবাসে থাকাকালীন সময়ে তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে বাংলাদেশের রাজনীতি, মানবাধিকার লঙ্ঘন, দুর্নীতি, গুম-খুনসহ নানা ইস্যুতে সরকারের কঠোর সমালোচনা করেছেন। যার ফলে তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও হয়েছে।


তিন ভিন্ন চরিত্র, এক অভিন্ন লক্ষ্য

  • পিনাকী ভট্টাচার্য: অর্থনীতিবিদ ও সমাজ বিশ্লেষক হিসেবে পরিচিত হলেও, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় বিশ্লেষণাত্মক ও কড়া বক্তব্যের জন্য অধিক আলোচিত।

  • ইলিয়াস হোসেন: অনুসন্ধানী সাংবাদিক হিসেবে তার পরিচিতি সীমাহীন। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে ক্ষমতাবানদের অন্ধকার অধ্যায় ফাঁস করতে তিনি বরাবরই ছিলেন নির্ভীক।

  • কনক সরোয়ার: এক সময়ের জনপ্রিয় টিভি সাংবাদিক, বর্তমানে ইউটিউবে রাজনীতি, মানবাধিকার ও জনগণের প্রশ্ন তুলে ধরা তার প্রধান কাজ।

তিনজনের এই মিলিত পদক্ষেপ একটি শক্ত বার্তা বহন করে—“তারা সরকারের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত”।


ইউনূসকে ঘিরে আন্তর্জাতিক চাপ, দেশে বৈরী পরিস্থিতি

ড. ইউনূস, যিনি বাংলাদেশের প্রথম ও একমাত্র নোবেলজয়ী ব্যক্তি, তার বিরুদ্ধে সরকারের একের পর এক মামলা, তদন্ত এবং হয়রানি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও তীব্র প্রতিক্রিয়ার জন্ম দিয়েছে। সম্প্রতি বহু নোবেলজয়ী, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা এবং প্রভাবশালী ব্যক্তি এই অবস্থানকে সরকারের পক্ষ থেকে ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসা’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

এমন এক সময়ে প্রবাসী তিন সাহসী কণ্ঠস্বরের দেশে ফেরা যেন সরকারকে আরও চাপে ফেলতে পারে।


ফেরার সময় নির্ধারিত না হলেও প্রস্তুতি সম্পূর্ণ

যদিও এখনো তারা কবে বাংলাদেশে ফিরবেন সে তারিখ আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়নি, তবে তাদের একসাথে ঢাকায় ফেরার পরিকল্পনা ইতোমধ্যেই রাজনীতিতে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।

অনেকে বলছেন, এটা হতে যাচ্ছে ‘এক্সিলেন্স ইন রেজিস্টেন্স’-এর বাস্তব রূপ। তাদের সম্মিলিত আগমন যেন সরকারের বিরুদ্ধে এক প্রতীকী প্রতিবাদ।


উত্তাল হতে চলেছে রাজনীতি?

তিনজন জনপ্রিয় ও ক্ষমতাসীনদের কড়া সমালোচক যদি একত্রে দেশে ফেরেন, তাহলে তা নিঃসন্দেহে রাজনীতিতে একটি বড় ঢেউ তুলবে।
এটি শুধুমাত্র একটি সংহতির ঘটনা নয়, বরং হতে পারে আগামী দিনের বড় রাজনৈতিক মোড় পরিবর্তনের সূচনা।

Ingen kommentarer fundet