দেশে ফিরেছেন ৪৭ হাজারের বেশি হাজি

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
চলতি বছর সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরেছেন ৪৭ হাজার ২১২ জন হাজি। মৃত্যু হয়েছে ৩৮ জনের। ফিরতি ফ্লাইট শেষ হবে ১০ জুলাই।..

সৌদি আরবে হজ পালন শেষে এখন পর্যন্ত দেশে ফিরেছেন মোট ৪৭ হাজার ২১২ জন হাজি। শুক্রবার দিবাগত রাত ২টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত এ তথ্য নিশ্চিত করেছে হজ সম্পর্কিত হেল্প ডেস্ক। বাংলাদেশ হজ অফিস, সিভিল এভিয়েশন অথরিটি, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও সৌদি আরবের হজ দপ্তর এই তথ্য প্রদান করেছে।

সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালন করে দেশে ফিরেছেন ৫ হাজার ৬ জন, আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ফিরেছেন ৪২ হাজার ২০৬ জন। সবমিলিয়ে মোট ১২০টি ফিরতি ফ্লাইট ইতোমধ্যে হজযাত্রীদের নিয়ে দেশে ফিরেছে। তিনটি প্রধান এয়ারলাইন্সের মাধ্যমে এসব ফ্লাইট পরিচালিত হয়েছে।

  • বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ৪৮টি ফ্লাইটে দেশে ফিরেছেন ১৯ হাজার ১৩ জন হাজি।

  • সৌদি এয়ারলাইন্সের ৫০টি ফ্লাইটে এসেছেন ১৯ হাজার ৭৫৮ জন।

  • ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্সের ২২টি ফ্লাইটে ফিরেছেন ৮ হাজার ৪৪১ জন।

এ বছর হজযাত্রা শুরু হয়েছিল ২৯ এপ্রিল থেকে, আর সর্বশেষ ফ্লাইট সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে ছেড়েছিল ৩১ মে। ফিরতি ফ্লাইট শুরু হয় ১০ জুন থেকে, যার প্রথমটি ছিল সৌদি এয়ারলাইন্সের ‘এসভি-৩৮০৩’। এই ফ্লাইটটি সকাল ১০টা ৫৪ মিনিটে ৩৭৭ জন হাজিকে নিয়ে অবতরণ করে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে।

হজযাত্রীদের দেশে ফেরার এই প্রক্রিয়া চলবে আগামী ১০ জুলাই পর্যন্ত। বিভিন্ন শিডিউল অনুযায়ী প্রতিদিনই সৌদি আরব থেকে ফ্লাইট আসছে।

তবে এই আনন্দের মধ্যেও কিছু শোকের সংবাদ রয়েছে।
চলতি হজ মৌসুমে এখন পর্যন্ত মোট ৩৮ জন বাংলাদেশি হাজি মারা গেছেন। তাঁদের মধ্যে ২৭ জন পুরুষ এবং ১১ জন নারী। মৃত্যুর জায়গা অনুযায়ী বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়—

  • মক্কায় মারা গেছেন ২৫ জন,

  • মদিনায় ১১ জন,

  • জেদ্দায় ১ জন

  • এবং আরাফায় ১ জন।

হজ পালন একটি বিশাল ধর্মীয় কার্যক্রম এবং শারীরিকভাবে এটি অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। তীব্র গরম, উচ্চ তাপমাত্রা, ভিড় এবং বয়সজনিত কারণে প্রতিবছর কিছু হাজির মৃত্যু ঘটে থাকে।

বাংলাদেশ সরকার এবছর হজ ব্যবস্থাপনায় আগের তুলনায় আরও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে। হজ হেল্প ডেস্ক, ডিজিটাল ট্র্যাকিং ব্যবস্থা, স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্পসহ বিভিন্ন সহায়তা ব্যবস্থা চালু করা হয়েছিল যাতে হাজিরা নির্বিঘ্নে হজ সম্পন্ন করতে পারেন।

বিমানবন্দরে হাজিদের অভ্যর্থনায় কাজ করছে বিশেষ টিম, যারা লাগেজ ও ইমিগ্রেশনের জটিলতা দূর করতে সহায়তা করছে। যাত্রীদের সুবিধার্থে তৈরি হয়েছে পৃথক লাউঞ্জ, বিশেষ কাউন্টার এবং স্বাস্থ্য সেবা বুথ।

পরবর্তী ফ্লাইট সূচি অনুযায়ী, আগামী ১০ জুলাই পর্যন্ত বিভিন্ন সময়সূচিতে হাজিদের ফিরিয়ে আনবে বিমান বাংলাদেশ, সৌদি এয়ারলাইন্স এবং ফ্লাইনাস। সব হাজিদের নিরাপদে দেশে ফেরাতে সরকার এবং সংশ্লিষ্ট এজেন্সিগুলো সর্বোচ্চ সতর্কতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে।হজ পালন শেষে হাজারো মানুষ তাদের আত্মার শান্তি নিয়ে ঘরে ফিরছেন। এই সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। তবে ৩৮ জন প্রিয়জনকে হারিয়ে কিছু পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সরকারের দায়িত্বশীলতা, প্রযুক্তির ব্যবহার এবং সেবার মান বৃদ্ধির কারণে এবারের হজ ব্যবস্থাপনা অনেক বেশি প্রশংসনীয় বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

Hiçbir yorum bulunamadı