close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

দেশে ফিরছেন শেখ হাসিনা? ওবায়দুল কাদেরের মুখে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য!..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
আগামী নির্বাচন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ঘোষণা, জামায়াতের ভূমিকাসহ শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন— সব নিয়ে মুখ খুললেন আওয়ামী লীগ নেতা ওবায়দুল কাদের। জানালেন দলের নতুন রণকৌশল এবং শেখ হাসিনার দেশের মাটিতে ফে..

বাংলাদেশের রাজনীতিতে ফের উত্তেজনার পারদ চড়ছে। আগামী নির্বাচন, দলীয় কৌশল, বিরোধীদের অবস্থান ও সর্বোপরি আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার দেশে ফেরাকে ঘিরে আলোচনার ঝড় উঠেছে। এই উত্তপ্ত সময়েই আনন্দবাজার ডট কমকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে মুখ খুললেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

 

ঈদুল আজহার আগে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূস ঘোষণা দিয়েছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথম ভাগে। তিনি আরও জানান, নির্বাচনের দিন নির্ধারণ এবং বিস্তারিত রোডম্যাপ নির্বাচন কমিশন যথাসময়ে জানাবে।

তবে এই ঘোষণাকে কেন্দ্র করে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। বিএনপির শীর্ষ নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ দাবি করেছেন, নির্বাচন জানুয়ারিতেই সম্ভব ছিল এবং জনগণের প্রত্যাশা ছিল অবিলম্বে ভোট। তার মতে, সময় পিছিয়ে দেওয়ায় রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা বাড়ছে এবং এটা জনগণের আস্থার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা।

 

এই পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দাবি করেছেন, এই ঘোষণার আড়ালে ‘নির্বাচন না করার’ বার্তা লুকানো রয়েছে। তার ভাষায়, “আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে কোনো গ্রহণযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়। দেশের ৪৫ শতাংশ মানুষ আওয়ামী লীগের পক্ষে। এই বিশাল জনগোষ্ঠীকে উপেক্ষা করে কোনো নির্বাচন হলে তা জনগণ মানবে না।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা এখন দলের ভিত্তিকে পুনর্গঠন করছি। রাজনৈতিক আদর্শ ও গণভিত্তির ওপর দলকে দাঁড় করানোই এখন সবচেয়ে জরুরি। দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে আমাদের অস্তিত্ব হুমকির মুখে, কিন্তু আওয়ামী লীগ সর্বদা জনগণের শক্তিতে বিশ্বাসী।”

 

আলোচনার এক পর্যায়ে কাদের অভিযোগ করেন, জামায়াতে ইসলামীর সাম্প্রতিক বক্তব্য এবং ড. ইউনূসের নির্বাচন ঘোষণার মধ্যে এক ধরণের সমন্বয় রয়েছে। তিনি বলেন, “ড. ইউনূসের শক্তির উৎস মৌলবাদী গোষ্ঠী। তাদের লক্ষ্য শেখ হাসিনাকে দূরে রাখা এবং নিজেদের সুবিধামতো একটি সরকার প্রতিষ্ঠা করা।”

এই বক্তব্যে পরোক্ষভাবে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে এবং ধর্মীয় উগ্রবাদীদের রাজনৈতিক প্রভাব বাড়ছে।

 

সবচেয়ে আলোচিত বিষয় ছিল শেখ হাসিনার দেশের মাটিতে ফিরে আসা নিয়ে। এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ওবায়দুল কাদের জানান, “তিনি নিয়মিত আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন, দলকে অনুপ্রাণিত করছেন। আমি আজ বিকেলেও তাঁর সঙ্গে কথা বলব। আল্লাহর রহমতে তিনি সুস্থ আছেন।”

তিনি আরও বলেন, “শেখ হাসিনা নিজেই বলেছেন— তিনি দেশের জন্যই ফিরে আসবেন। যারা তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে, তারা পার পাবে না। তবে কবে ফিরবেন, সেটা এখনই বলা যাচ্ছে না। সবকিছু নির্ভর করছে দেশের রাজনৈতিক অবস্থা, জনগণের মনোভাব এবং আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির ওপর।”

এই বক্তব্যে স্পষ্ট, আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ নেতৃত্বে এখনো শেখ হাসিনাই আস্থা ও নির্ভরতার প্রতীক। তাঁর ফেরার মাধ্যমে দলের শক্তি ফিরে পাবে বলে বিশ্বাস দলের ভেতরে।

 

বাংলাদেশের রাজনীতির পরবর্তী ধাপ হবে অস্থির, উত্তেজনাপূর্ণ এবং সম্ভাব্য সংঘাতময়। একদিকে নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক বিতর্ক, অন্যদিকে শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তনের সম্ভাবনা— এই দুই মিলে আগামী সময়ের বাংলাদেশে ঘটতে পারে নাটকীয় পরিবর্তন। প্রশ্ন এখন একটাই— শেখ হাসিনা কবে ফিরবেন?

No comments found


News Card Generator