ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব ডাক বিভাগের আধুনিকায়ন ও কার্যকারিতা বাড়ানোর জন্য একাধিক দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। মঙ্গলবার (তারিখ উল্লেখযোগ্য হলে সংযোজন করা যেতে পারে) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ডাক ভবনে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি ডাক বিভাগের সব সম্পদের ডিজিটাল ইনভেন্টরি করার নির্দেশ দেন এবং বলেন, "বিগত সময়ে ডাক বিভাগের অনেক সম্পদ বেদখল হয়ে গেছে, যা দ্রুত দখলমুক্ত করার ব্যবস্থা নিতে হবে।"
এছাড়া, সরকারি সেবাকে আরও সহজলভ্য করতে ডাক বিভাগের ভূমিকা বাড়ানোর পরামর্শ দেন তিনি। তিনি বলেন, “সরকারি যেসব সেবা জনগণ অফিসে গিয়ে সংগ্রহ করতে হয়, তা ডাক বিভাগের মাধ্যমে ঘরে পৌঁছে দেওয়া যায় কিনা, তা যাচাই করতে হবে।”
তিনি কর্মকর্তাদের শুধু ইউরোপের উদাহরণ না দেখে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত ও পাকিস্তানের সফল সার্ভিস মডেল সম্পর্কে খোঁজ নেওয়ার নির্দেশ দেন। তার মতে, এই দুই দেশের ডাক ব্যবস্থার উন্নয়ন কৌশল বাংলাদেশেও কার্যকরভাবে প্রয়োগ করা যেতে পারে।
ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন ও মান নিয়ন্ত্রণের তাগিদ
ডাক বিভাগের আধুনিকায়নের ক্ষেত্রে ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। এজন্য ডাক অধিদপ্তরের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন তিনি।
এছাড়া, ডাক বিভাগের অধীনে চলমান ও ভবিষ্যৎ নির্মাণ কাজের মান পরীক্ষা এবং ইকুইপমেন্ট ও সফটওয়্যারের গুণগতমান যাচাই করতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
প্রকল্প অনুমোদনে নতুন নিয়ম
সভায় তিনি এক্সিট প্ল্যান ছাড়া কোনো প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হবে না বলে স্পষ্ট নির্দেশনা দেন। তার মতে, প্রত্যেকটি নতুন প্রকল্পে একটি সুস্পষ্ট এক্সিট প্ল্যান থাকতে হবে, যাতে তার কার্যকারিতা ও সফলতার নিশ্চয়তা থাকে।
তিনি আরও বলেন, “নতুন প্রকল্পের মান নিশ্চিত করতে হবে। কোনো ধরনের দুর্বল প্রকল্প গ্রহণ করা যাবে না।”
মতবিনিময় সভার অন্যান্য বিষয়
ডাক অধিদপ্তরের এই মতবিনিময় সভায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব ড. মো. মুশফিকুর রহমান সভাপতিত্ব করেন। এছাড়া, ডাক অধিদপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় ডাক বিভাগের বর্তমান কার্যক্রম ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে বিশদ আলোচনা করা হয়।
এই সভার মাধ্যমে স্পষ্ট হয়েছে যে, ডাক বিভাগকে আরও আধুনিক, কার্যকর ও প্রযুক্তিনির্ভর করতে সরকার বিশেষ উদ্যোগ নিচ্ছে। উন্নত দেশগুলোর পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী দেশের সফল মডেল বিশ্লেষণ করেও বাংলাদেশে কার্যকর সমাধান প্রয়োগের পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে।
ডাক বিভাগের আধুনিকায়নের এই উদ্যোগ সরকারি সেবাকে আরও সহজলভ্য করবে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ্য পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এখন দেখার বিষয়, ভারত-পাকিস্তানের সফল মডেল বিশ্লেষণের পর বাংলাদেশ কেমন পরিবর্তন নিয়ে আসে!



















