close
লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!
দাফনের পাঁচ মাস পর কবর থেকে উত্তোলন: আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ঝিনাইদহের আ.লীগ নেতা ও তার চালকের মরদেহ


ঝিনাইদহ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম হিরণ এবং তার গাড়িচালক মো. আক্তার হোসেনের মরদেহ দাফনের পাঁচ মাস ১০ দিন পর কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় ঝিনাইদহ সদর উপজেলার আড়ুয়াকান্দি ও ভূপতিপুর কবরস্থান থেকে প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে এই মরদেহ উত্তোলনের কাজ সম্পন্ন হয়।
কি ঘটেছিল সেই দিনে?
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ৫ আগস্ট একটি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় স্থানীয় জনরোষের শিকার হয়ে নিহত হন শহিদুল ইসলাম হিরণ ও তার গাড়িচালক আক্তার হোসেন। স্থানীয় সূত্র মতে, সেই দিন পরিস্থিতি সহিংস রূপ নেয়, যার ফলস্বরূপ প্রাণ হারান তারা।
হত্যা মামলা দায়ের
এই ঘটনার পর নিহত শহিদুল ইসলাম হিরণের ভাতিজা জিয়াউল আলম এবং গাড়িচালক আক্তারের ভাই মো. মুক্তার বাদী হয়ে পৃথক দুটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকশ জনকে আসামি করা হয়। তবে দীর্ঘ তদন্তের পরও এখনো কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযুক্তকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
মরদেহ উত্তোলনের কারণ
মামলার তদন্তে আরও তথ্য নিশ্চিত করার জন্য আদালতের নির্দেশে মরদেহ দুটির ময়নাতদন্ত প্রয়োজন হয়। প্রশাসনের বিশেষ তত্ত্বাবধানে মরদেহ উত্তোলন করা হয় এবং পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগে পাঠানো হয়।
স্থানীয়দের প্রতিক্রিয়া
এই ঘটনা নতুন করে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও প্রকৃত দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন। প্রশাসন জানিয়েছে, তদন্তের স্বার্থে প্রাপ্ত নতুন তথ্য বিশ্লেষণ করে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।শহিদুল ইসলাম হিরণ ও তার গাড়িচালক আক্তার হোসেনের হত্যাকাণ্ড নিয়ে ঝিনাইদহের জনমনে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। এই উত্তোলনের পর ময়নাতদন্তের ফলাফল প্রকাশের মাধ্যমে প্রকৃত তথ্য উঠে আসবে বলে আশা করছে সংশ্লিষ্টরা। তবে এই ঘটনায় ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা প্রশাসনের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
Ingen kommentarer fundet