ড. ইউনূসকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে দেখতে চান সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন— বিএনপি সরকারে এলে বদলে যেতে পারে দেশের সর্বোচ্চ পদে নেতৃত্বের চিত্র।
রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনার ঝড় তুলেছেন প্রবাসী সাংবাদিক ও বিশ্লেষক ইলিয়াস হোসেন। সোমবার সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন, যদি বিএনপি পরবর্তী জাতীয় নির্বাচনে ক্ষমতায় আসে, তাহলে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে বিবেচনা করা উচিত।
পোস্টটিতে ইলিয়াস হোসেন বলেন, “বিএনপি যদি সরকার গঠন করে, তবে ড. ইউনূসকে হাসিনার মতো বিরোধীপক্ষ না বানিয়ে কাজে লাগালে ক্ষতি কিছু হবে না। বরং রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ মর্যাদার পদে ওনাকে বসানো হলে সেটা হবে একটি কৌশলী ও ইতিবাচক সিদ্ধান্ত।”
তিনি আরও লেখেন, “আমার মতে, ড. ইউনূস রাজি থাকলে ওনাকে রাষ্ট্রপতি করে রাখা যেতে পারে।”
এই প্রস্তাব এমন এক সময় এসেছে, যখন ড. ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে লন্ডনে। বৈঠকের বিষয়ে একটি যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, উভয় পক্ষ আলোচনায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে। আলোচনা হয়েছে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি, রোডম্যাপ ও রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে। বৈঠকে আগামী রমজানের আগেই নির্বাচন সম্পর্কিত একটি প্রস্তাব উত্থাপন ও সম্ভাব্য সময়সীমা নির্ধারণ নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সাংবাদিক ইলিয়াসের এই প্রস্তাব কেবল তার ব্যক্তিগত মত হলেও, এটি বিএনপির মধ্যে একটি নতুন চিন্তার সূচনা হতে পারে। বিশেষ করে, যদি ড. ইউনূস রাষ্ট্রপতি হন, তবে দেশি-বিদেশি কূটনৈতিক মহলে তা ইতিবাচক বার্তা পাঠাতে পারে।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস একাধারে অর্থনীতিবিদ, সমাজসেবক ও নোবেল বিজয়ী। তিনি ‘গ্রামীণ ব্যাংক’-এর প্রতিষ্ঠাতা এবং বিশ্বজুড়ে ক্ষুদ্রঋণের অগ্রদূত হিসেবে পরিচিত। বর্তমানে কিছু আইনি ঝামেলায় জড়িত থাকলেও, আন্তর্জাতিক মহলে তার গ্রহণযোগ্যতা বরাবরই প্রশ্নাতীত।
অন্যদিকে, সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন তার সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট ও ইউটিউব লাইভের মাধ্যমে সরকারবিরোধী বক্তব্যের জন্য পরিচিত। তার এই প্রস্তাব ভবিষ্যতের রাজনৈতিক পরিকল্পনা ও আলোচনা ঘিরে নতুন করে আগ্রহ তৈরি করেছে।
বিএনপি-ড. ইউনূস সম্পর্ক যতটা রাজনৈতিক, ততটাই কৌশলীও হতে পারে— এমনটাই ইঙ্গিত দিচ্ছে এই প্রস্তাব। রাষ্ট্রপতির মতো সম্মানজনক ও প্রতীকী পদে একজন আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্বকে বসানোর চিন্তা বাস্তবায়িত হলে, তা রাজনৈতিক ভারসাম্যে বড় পরিবর্তন এনে দিতে পারে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।



















