close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

ড. ইউনূসের হংকংয়ে যাত্রাবিরতি, স্বাগত জানালেন শ্রমমন্ত্রী..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
জাপানের উদ্দেশ্যে যাত্রাকালে হংকংয়ে যাত্রাবিরতিতে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অভ্যর্থনা জানালেন হংকংয়ের শ্রমমন্ত্রী ক্রিস সান। জাপানে ‘ফিউচার অব এশিয়া’ সম্মেলনে অংশগ্রহণ এবং প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা..

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা এবং নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস একটি চার দিনের সরকারি সফরে জাপানের উদ্দেশে যাত্রা করেছেন।

গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টা ১০ মিনিটে রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ক্যাথে প্যাসিফিক এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তিনি ঢাকা ত্যাগ করেন। তাঁর সঙ্গে সফরসঙ্গীরাও একই ফ্লাইটে যাত্রা করেন।

যাত্রাপথে হংকংয়ে সংক্ষিপ্ত বিরতি দেন ড. ইউনূস। হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁর এই যাত্রাবিরতিকে ঘিরে সৃষ্টি হয় এক ভিন্নধর্মী কূটনৈতিক মুহূর্ত। বিমানবন্দরে তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতে উপস্থিত ছিলেন হংকংয়ের শ্রমমন্ত্রী ক্রিস সান। তাঁরা একে অপরের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এবং পারস্পরিক শুভেচ্ছা জানান।

বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি তুলে ধরতে এই সফর বিশেষ গুরুত্ব বহন করছে বলে মনে করছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা। জাপানে ড. ইউনূস অংশ নেবেন বহুল আলোচিত নিক্কেই ফোরামের 'ফিউচার অব এশিয়া' শীর্ষক সম্মেলনে। এই সম্মেলনে তিনি এশিয়ার ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক রূপরেখা, টেকসই উন্নয়ন এবং প্রযুক্তিনির্ভর সমাজ গঠনের বিষয়ে বক্তব্য রাখবেন।

সফরের আরেক গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার সঙ্গে তাঁর নির্ধারিত দ্বিপক্ষীয় বৈঠক। দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্ক ও সহযোগিতার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিশেষ করে ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হতে পারে।

এছাড়া সফরকালে তিনি জাপানের বেশ কিছু উচ্চ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ, শিক্ষাবিদ ও অর্থনীতিবিদদের সঙ্গেও মতবিনিময় করবেন।

জাপানে ড. ইউনূসের উপস্থিতি এশিয়ার নীতিনির্ধারক ও গবেষক মহলে গভীর আগ্রহের জন্ম দিয়েছে। বিশেষ করে তাঁর সামাজিক ব্যবসা মডেল ও দারিদ্র্য বিমোচনে ভিন্নধর্মী চিন্তাধারা বিশ্বজুড়ে আলোচিত।

প্রধান উপদেষ্টার জাপান সফর শেষে আগামী ৩১ মে তাঁর দেশে ফেরার কথা রয়েছে

এই সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও জাপানের কূটনৈতিক সম্পর্ক নতুন মাত্রা পাবে বলে সংশ্লিষ্ট মহল আশাবাদ ব্যক্ত করেছে।



ড. ইউনূসের এই সফর শুধু একটি কূটনৈতিক সফর নয়, বরং বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুলে ধরার এক সুযোগ। বিশেষ করে তাঁর সঙ্গে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক এবং 'ফিউচার অব এশিয়া' সম্মেলনে অংশগ্রহণ এশিয়াজুড়ে বাংলাদেশের সক্রিয় উপস্থিতির বার্তা বহন করবে।

No comments found