close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠক স্বস্তি ফিরিয়ে এনেছে : দুদু

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
লন্ডনে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তারেক রহমানের বহুল আলোচিত বৈঠক ঘিরে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ তৈরি হচ্ছে। বিএনপি বলছে—এটি একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ, যা দেশের রাজনীতিতে স্বস্তি ও আশা ফিরিয়ে এনেছে। অন্যদিকে, এই বৈঠক ..

বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তার প্রেক্ষাপটে লন্ডনে অনুষ্ঠিত ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বহুল আলোচিত বৈঠককে ‘একটি স্বস্তিদায়ক ও আশাব্যঞ্জক ঘটনা’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।

শনিবার (১৪ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ‘নির্বাচন ও জাতীয় ঐক্য’ বিষয়ক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, “জাতির প্রয়োজনে এই বৈঠকটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও সময়োপযোগী ছিল। এটি শুধু বিএনপির নয়, পুরো জাতির পক্ষেই ইতিবাচক বার্তা বহন করছে।"

দুদুর মতে, দীর্ঘদিনের একনায়কতান্ত্রিক শাসনের পর যখন জাতি দিকভ্রান্ত, তখন অন্তর্বর্তী সরকারের সম্ভাব্য প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস এবং বিএনপি নেতৃত্বের মধ্যে এই আলোচনা জনগণের মনে নতুন করে আশার সঞ্চার করেছে। তিনি বলেন, “যেখানে গণতন্ত্র দমবন্ধ অবস্থায়, সেখানে এই বৈঠক যেন বাতাসে হাওয়া দেওয়ার মতো কাজ করেছে।”

শামসুজ্জামান দুদু আরও বলেন, “গত জুলাই-আগস্টের আন্দোলন ছিল গণ-অভ্যুত্থানের শুরু। এর পূর্ণতা তখনই আসবে, যখন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে এবং একটি জনগণের নির্বাচিত সরকার দায়িত্ব নেবে।"

তিনি দাবি করেন, গত ১৫ বছর ধরে দেশের মানুষ প্রকৃত ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত। শেখ হাসিনার অধীনে বারবার নির্বাচনের নামে ‘নাটক’ হয়েছে, যেখানে মানুষ ভোটকেন্দ্রে গেলেও তাদের ভোট ‘হয়নি’। তিনি বলেন, “শেখ হাসিনা এমন একটি নির্বাচনী ব্যবস্থা দাঁড় করিয়েছেন যেখানে জনগণ শুধুই দর্শক।"

বক্তব্যে শামসুজ্জামান দুদু তীব্রভাবে সমালোচনা করেন ভারতের ভূমিকাও। তিনি বলেন, “শেখ হাসিনার অধীনে অনুষ্ঠিত প্রহসনের নির্বাচনকে স্বীকৃতি দিয়ে প্রতিবেশী একটি দেশ তাঁকে ফুলের মালা পরিয়ে অভিনন্দন জানিয়েছে। এটি ছিল গণতন্ত্রের মুখোশধারী নাটক।”

তিনি আরও অভিযোগ করেন, নির্বাচনগুলোতে স্বীকৃত রাজনৈতিক দলগুলোকে প্রার্থী দেওয়ার সুযোগ পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। যেসব দল নির্বাচনে অংশ নিতে চেয়েছে, তাদেরকেও প্রশাসনিকভাবে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জনতার অধিকার পার্টির চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলাম ভূঁইয়া এবং লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। সবাই একমত হন যে, এখন সময় এসেছে জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের, যেখানে জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনা হবে এবং অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজন করা হবে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বর্তমান পরিস্থিতিতে এমন একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নির্ধারণে বড় ধরনের ইঙ্গিত বহন করে। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও এটি নজর কেড়েছে। ড. ইউনূসের মতো একজন নোবেল বিজয়ী এবং তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপির নতুন কৌশল ভবিষ্যতে একটি বৃহৎ ঐক্যের ভিত্তি গড়তে পারে।

No comments found


News Card Generator