চাঁপাইনবাবগঞ্জে ছাত্রলীগ নেতার চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়ার ঘটনাটি স্থানীয় পর্যায়ে তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে। মধ্যরাতে বাড়িতে ঢুকে মোবাইল ও নগদ টাকা চুরির চেষ্টাকালে এলাকাবাসীর হাতে ধরা পড়েন ছাত্রলীগের ইউনিয়ন ওয়ার্ড পর্যায়ের এক নেতা। পরে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
জানা গেছে, শনিবার (২৪ মে) দিবাগত রাত আনুমানিক ৩টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার গোমস্তাপুর ইউনিয়নের চাইপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মিজানের বাড়িতে চুরি করতে যান নাহিদ (১৯)। তিনি একই এলাকার বাসিন্দা ও ছাত্রলীগের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি। স্থানীয়ভাবে ‘নাহিদ জিয়া ডাক্তারের ছেলে’ নামে পরিচিত তিনি।
স্থানীয় সূত্রের বরাতে জানা গেছে, রাতে মিজান ও তার পরিবারের সদস্যরা ঘুমিয়ে ছিলেন। এ সময় ঘরের ভেতরে ঢুকে মোবাইল ফোন ও কিছু নগদ অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন নাহিদ। হঠাৎ ঘরের কিছুর আওয়াজ পেয়ে একজন সদস্য জেগে ওঠেন এবং বিষয়টি পরিবারের অন্যদের জানালে তারা চোরকে ধাওয়া করেন।
চোর পালানোর চেষ্টা করলেও এলাকাবাসীর সহায়তায় তাকে আটক করা হয়। পরে তার দেহ তল্লাশি করে একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়, যা মিজান পরিবারের দাবি অনুযায়ী তাদের বাড়ি থেকেই নেওয়া হয়েছিল।
ঘটনার খবর পেয়ে সকালে গোমস্তাপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং আটক নাহিদকে থানায় নিয়ে যায়।
গোমস্তাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রইস উদ্দিন জানান, “চুরি করতে গিয়ে জনগণের হাতে আটক হওয়া ওই যুবক ছাত্রলীগের একজন ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতা। আমরা খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে যাই এবং তাকে হেফাজতে নেই। তার বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।”
এ বিষয়ে ছাত্রলীগের স্থানীয় ইউনিট থেকে এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে ঘটনার পর থেকে এলাকাজুড়ে নানান আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
স্থানীয়রা বলছেন, ছাত্ররাজনীতির নামে বিভিন্ন সময় যুবকদের অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়ানোর নজির বাড়ছে। তারা এমন ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
		
				
			


















