close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

চোখ হারানো ৪ জুলাই যো'দ্ধা'দের পাশে তারেক রহমান: বি'ষপানের পর হাসপাতালে পৌঁছাল অর্থ সহায়তা..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
৪ জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে চোখ হারানো চার যোদ্ধা বিষপান করে ভর্তি হন হাসপাতালে। তাদের চিকিৎসা ও সাহস জোগাতে এগিয়ে এলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তার পক্ষ থেকে পৌঁছানো হলো আর্থিক সহায়তা..

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ৪ জুলাইয়ের গণআন্দোলনে অংশ নিয়ে আহত, চোখ হারানো এবং পরবর্তীতে বিষপান করে চিকিৎসাধীন থাকা চার যোদ্ধার পাশে দাঁড়িয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এই চার যুবকের হাতে আর্থিক সহায়তা তুলে দেন বিএনপি নেতারা। একইসাথে তাদের চিকিৎসার খোঁজখবর নেওয়া হয় এবং তারেক রহমানের পক্ষ থেকে সহমর্মিতার বার্তা পৌঁছে দেওয়া হয়।

গণতন্ত্র ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে যারা নিজেদের চোখ বিসর্জন দিয়েছেন, পরবর্তীতে চরম হতাশা ও ক্ষোভে বিষপানে জীবন বিপন্ন করে তুলেছেন—তাদের অবস্থা এখনো আশঙ্কাজনক। তারা হলেন: শিমুল, মারুফ, সাগর ও আখতার হোসেন তাহের। গত রোববার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে তারা বিষপান করেন। পরিস্থিতির অবনতি হলে দ্রুত তাদের সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

তারেক রহমানের প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন

তারেক রহমান আগেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, ৪ জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে আহতদের তিনি সহায়তা করবেন। সেই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ীই এদিন আমরা বিএনপি পরিবারের নেতৃবৃন্দ, চিকিৎসক ও ছাত্রদল নেতারা উপস্থিত হয়ে এই সহায়তা তুলে দেন।

উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব ও আমরা বিএনপি পরিবারের উপদেষ্টা শহীদউদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন। তারা বলেন, “এই তরুণদের আত্মত্যাগ বৃথা যেতে পারে না। তাদের চিকিৎসা এবং সাহস জোগানো আমাদের রাজনৈতিক এবং নৈতিক দায়িত্ব।”

হাসপাতালে আতঙ্কের চিত্র

চিকিৎসাধীন এই যুবকদের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে নেতারা জানান, বিষপান ও চোখ হারানোর ঘটনাগুলো শুধু রাজনৈতিক ইতিহাস নয়—মানবিক বিপর্যয়েরও দৃষ্টান্ত। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কেউ কেউ আতঙ্কে দায়িত্ব পালনে পিছিয়ে পড়েছেন বলেও অভিযোগ উঠে এসেছে।

প্রতিনিধিদলের উপস্থিতি ও প্রতিশ্রুতি

এদিন উপস্থিত ছিলেন আমরা বিএনপি পরিবারের উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল, আবুল কাশেম, ইঞ্জিনিয়ার মোস্তফা-ই-জামান সেলিম, সদস্য সচিব মোকছেদুল মোমিন মিথুন, সদস্য মাসুদ রানা লিটন, মুস্তাকিম বিল্লাহ ও ফরহাদ আলী সজীব।

এছাড়াও ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির স্বাস্থ্য বিষয়ক সহ-সম্পাদক ডা. পারভেজ রেজা কাকন, ড্যাবের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ডা. আ. ন. ম. মনোয়ারুল কাদির বিটু, সাংবাদিক জাহিদুল ইসলাম রনি, ছাত্রদলের সাবেক ও বর্তমান বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দসহ অসংখ্য নেতাকর্মী।

চিকিৎসার অগ্রগতি ও চিকিৎসকদের বার্তা

প্রতিনিধিদল হাসপাতালে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের সঙ্গেও কথা বলেন। তাদের কাছ থেকে জানার চেষ্টা করেন চার যুবকের বর্তমান অবস্থা, ভবিষ্যৎ চিকিৎসা পরিকল্পনা এবং প্রয়োজনীয় সহায়তার বিষয়গুলো।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বিষপানের ফলে চারজনেরই শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কারো দৃষ্টিশক্তি হারানো স্থায়ী, আবার কারো ক্ষেত্রে চিকিৎসা সময়সাপেক্ষ। তবে তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন যাতে চারজনই সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরতে পারেন।

তারেক রহমানের বার্তা: “এই সংগ্রাম বৃথা যেতে পারে না”

তারেক রহমানের পক্ষ থেকে জানানো হয়, “যারা জীবন বাজি রেখে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে পথে নেমেছে, তারা যেনো কখনো মনে না করে—তাদের বিসর্জন মূল্যহীন। এই দেশের জনগণ এবং বিএনপি সবসময় তাদের পাশে রয়েছে।”

এই আর্থিক সহায়তা কেবল একটি তাৎক্ষণিক সান্ত্বনা নয়—এটি ভবিষ্যতে আরো বৃহৎ সহায়তার সূচনা বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন নেতারা।গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ে নিজ দৃষ্টি হারানো চার তরুণ আজ মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন। তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে বিএনপি, তারেক রহমান। এই সহানুভূতি শুধু রাজনৈতিক নয়, একটি মানবিক বার্তা—নতুন প্রজন্মের জন্য উদ্দীপনার উৎস।

No comments found


News Card Generator