চমকপ্রদ প্রতিবাদে ধানমন্ডি-৩২: বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে ভাঙচুর শুরু!
বুধবার রাতে ধানমন্ডি-৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক বাড়িতে বিক্ষোভ ও ভাঙচুর চালিয়েছে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, রাত ৮টার দিকে শিক্ষার্থীরা বাড়িটির গেট ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করেন এবং সেখানে তীব্র প্রতিবাদ জানাতে শুরু করেন। বাড়ির অভ্যন্তরে অবস্থানরত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালটি ইতোমধ্যে ভেঙে ফেলা হয়েছে। এসময় ছাত্ররা দাবি জানিয়ে বলেন, “বুলডোজার আসুক-না আসুক, আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করব, এবং এই চিহ্ন মুছে দেব।”
বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, "আমরা সন্ধ্যা থেকে এখানে অবস্থান নিয়েছি, এবং প্রতি মিনিটে শত-শত মানুষ আমাদের সঙ্গে যোগ দিচ্ছে। আমরা স্বৈরাচারের চিহ্ন মুছে ফেলতে চাই।" তাদের দাবি, বাংলাদেশের প্রথম স্বৈরাচারী সরকারের প্রতীক হিসেবে তারা শেখ হাসিনার সরকারের বিপক্ষে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
এদিকে, ছাত্ররা অভিযোগ করেন যে, “যারা ছাত্র হত্যার সঙ্গে জড়িত, তাদের কোনো চিহ্ন বাংলাদেশে থাকতে পারে না।” তারা শেখ হাসিনাকে অবিলম্বে দেশে ফিরিয়ে এনে শাস্তির ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছেন।
এর আগে, নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল অধিবেশনে যোগদান করার ঘোষণা দিয়ে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই প্রতিবাদের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছেন। বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা বলছেন, “তারা দেশে শেখ হাসিনার কোনো অস্তিত্ব রাখতে চান না।”
এই ঘটনার পর ‘জুলাই রেভল্যুশনারি অ্যালায়েন্স’ বুধবার রাত ৯টায় ‘লং মার্চ টু ধানমন্ডি-৩২’ কর্মসূচির ঘোষণা দেয়, যেখানে হাজারো ছাত্র-জনতা বুলডোজারের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানাতে উপস্থিত হবে।
ফেসবুকে বিভিন্ন পোস্টের মাধ্যমে আরও জানানো হয়েছে, এই আন্দোলন ধানমন্ডি-৩২ এর উদ্দেশ্যে বুলডোজার মিছিল হয়ে চলবে, যা ছাত্র-জনতার প্রতিবাদের সবচেয়ে বড় দৃষ্টান্ত হিসেবে চিহ্নিত হতে পারে।
এ পরিস্থিতিতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে, এবং ছাত্র আন্দোলনের এই প্রতিবাদ দেশের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক পরিবর্তনের প্রতীক হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি