close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

চমকপ্রদ খবর! বিএনপি সতর্ক: সংস্কার নিয়ে বিলম্ব হলে গোলমাল পাকাতে পারে

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
বাংলাদেশের রাজনীতিতে ক্রমাগত উত্তেজনা বিরাজ করছে। এরই মধ্যে, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের নতুন অবস্থান এবং সংকট নিরসনে তাদের অভিপ্রায় স্পষ্ট কর
বাংলাদেশের রাজনীতিতে ক্রমাগত উত্তেজনা বিরাজ করছে। এরই মধ্যে, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের নতুন অবস্থান এবং সংকট নিরসনে তাদের অভিপ্রায় স্পষ্ট করেছেন। তিনি বলেছেন, যত দ্রুত সম্ভব "মিনিমাম সংস্কার" করে নির্বাচন আয়োজনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছেন তারা। আরও জানিয়েছে, নির্বাচন পরবর্তী সরকার সংস্কারের পূর্ণতা দেবে। তবে, এর মাঝেই তারা তীব্র সতর্কতা অবলম্বন করছে, বিশেষ করে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে, যাতে আরেকটি ‘ওয়ান ইলেভেন’ পরিস্থিতি তৈরি না হয়। বিএনপির মধ্যে রাজনৈতিক সংকটের সংকেত নিয়ে সন্দেহ শুরু হয়েছে, তবে তারা বলছে, যদি কোনও পরিস্থিতিতে তাদের বাদ দিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তবে জনগণ তা মেনে নেবে না। বিএনপি মহাসচিব এই বিষয়ে অনেক কঠোর ভাষায় বলেছেন, "যদি কোনো চক্রান্ত করা হয় এবং বিএনপিকে বাদ দিয়ে কিছু করা হয়, সেটা জনগণ মেনে নেবে না।" এছাড়া, সম্প্রতি তথ্যমন্ত্রী নাহিদ ইসলামের এক মন্তব্যের পর বিএনপির মধ্যে আরও উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বলেন, "রাজনৈতিক দলগুলো চাইছে না অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে সংস্কার হোক, তাই তারা সরকারের ব্যর্থতা প্রমাণ করতে চাইছে।" মির্জা ফখরুল ইসলামের মতে, এই বক্তব্যে সরকার পক্ষের ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত রয়েছে, যার ফলে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিভাজন তৈরি হতে পারে। তাই, বিএনপি তাদের রাজনৈতিক অঙ্গনে পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে সতর্কতার বার্তা দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের নেতৃত্বে থাকা নেতাদের নিয়ে নতুন গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। কিছু ছাত্রনেতা রাজনৈতিক দল গঠনের পরিকল্পনা করছে, যদিও তারা এখনও পরিষ্কারভাবে কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। তাদের মধ্যে কেউ বলছেন, নতুন রাজনৈতিক দল গঠন হবে এবং তারা সরকারের বিরোধিতা করবে, আবার কেউ মনে করছেন যে, তারা সরকারের পাশে থাকবেন, তবে ভুল সিদ্ধান্তের সমালোচনা করবেন। এমনই এক পরিস্থিতিতে, ফরহাদ মজহার, একজন বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক, দেশের রাজনৈতিক সংকট নিরসনের জন্য নির্বাচনকে যথেষ্ট না মনে করে বলেছেন যে, সেনা সমর্থিত অন্তর্বর্তী সরকারের মাধ্যমে দেশের পরিস্থিতি মোকাবিলা করা উচিত। তিনি খালেদা জিয়ার সাহসিকতার প্রশংসা করে বলেছেন, গণঅভ্যুত্থানের পক্ষে তার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। এদিকে, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একাধিকবার সতর্ক করে দিয়েছেন যে, যদি রাজনৈতিক দলগুলোর বিরুদ্ধে কোনও ষড়যন্ত্র করা হয়, তবে দেশের জনগণ তা মেনে নেবে না। তিনি আরও বলেন, "বিএনপির মেসেজ পরিষ্কার—দেশের মানুষকে না জানিয়ে কিছু করতে গেলে এর ফল ভালো হবে না।" এ পরিস্থিতিতে, বিএনপি এবং তার সহযোগী রাজনৈতিক দলগুলো, সংসদ নির্বাচনের আগেই আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে পারে যা বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যত নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
نظری یافت نشد