close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

চমকে উঠলো নিঝুমদ্বীপ! দরজা খোলা, ঘরের ভেতরে ছোপ ছোপ রক্ত… পুকুরে ভেসে উঠলো গলা কাটা মরদেহ!..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
নোয়াখালীর নিঝুমদ্বীপে ঘটেছে এক মর্মান্তিক ও রহস্যজনক হত্যাকাণ্ড। শতফুল গ্রামের শান্ত পরিবেশ হঠাৎই কেঁপে উঠেছে রক্তাক্ত এক মৃত্যুর ঘটনায়। গলা কেটে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে আমেনা বেগম (৫০) নামের এক গৃ..

কী ঘটেছিল সেদিন রাতে?

নিহতের স্বামী এমরান উদ্দিন জানান, প্রতিদিনের মতোই তিনি বাজারে যান তার শুঁটকি ব্যবসার কাজে। সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে স্ত্রী আমেনাকে নামাজ পড়তে দেখে আবারও বাজারে চলে যান। এরপর রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে তিনি যখন পুনরায় বাড়ি ফিরেন, তখনই তার চোখে পড়ে বিভৎস দৃশ্য:

  • বসত ঘরের দরজা খোলা

  • ঘরে কেউ নেই

  • মাঝের কক্ষে ছোপ ছোপ রক্তের দাগ

তিনি চিৎকার শুরু করলে আশেপাশের লোকজন এসে দ্রুত ঘটনাস্থলে জড়ো হয়। পরে বাড়ির পেছনের পুকুরে ভেসে ওঠা অবস্থায় আমেনা বেগমের গলা কাটা মরদেহ দেখতে পান সকলে।

পরে খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে।


 তদন্ত কী বলছে?

হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আজমল হুদা সাংবাদিকদের জানান:

“আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, গলা কেটে হত্যা করার পর মরদেহটি বাড়ির পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছে। তবে এ ঘটনায় কে বা কারা জড়িত এবং হত্যার প্রকৃত কারণ এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তদন্ত চলছে।”

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রাতেই একটি হত্যা মামলার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। তবে পরিবারের কেউ এখনও কারো বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করেননি।


 রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে

স্থানীয়দের মাঝে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।
গ্রামবাসীদের মধ্যে গুঞ্জন উঠেছে –

  • এটি কি পূর্বপরিকল্পিত খুন?

  • কারো সঙ্গে ব্যক্তিগত শত্রুতা ছিল?

  • না কি অন্য কোনো গোপন সম্পর্ক বা পারিবারিক কলহ এর পেছনে ভূমিকা রেখেছে?

এমন অনেক প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছে এলাকাবাসীর মনে।


 পরিবারে এখন শোকের মাতম

আমেনা বেগম ছিলেন ৪ মেয়ে ও ২ ছেলের জননী। তার দুই ছেলে পড়াশোনার জন্য জেলা শহর মাইজদীতে অবস্থান করছেন, আর মেয়েরা বিবাহিত। এ ঘটনায় পুরো পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
স্বামী এমরান উদ্দিন বারবার অজ্ঞান হয়ে পড়ছেন বলে জানিয়েছেন প্রতিবেশীরা।


 কী অপেক্ষা করছে সামনে?

এখন সকলের একটাই প্রত্যাশা –
এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের দ্রুত ও সঠিক তদন্ত হোক। খুনিদের শনাক্ত করে তাদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হোক।

পুলিশ জানিয়েছে, বাড়ির আশপাশে ও প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তদন্তে আধুনিক প্রযুক্তিও ব্যবহারের পরিকল্পনা আছে বলে জানা গেছে।

لم يتم العثور على تعليقات