কুমিল্লার মুরাদনগর এলাকায় এক নারীর ধর্ষণের ঘটনায় মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে অভিযুক্ত ফজর আলী তার বাড়িতে গিয়ে দরজা ভাঙা ভাঙা প্রবেশ করে ওই নারীকে ধর্ষণ করে। ঘটনার সময় নারীর চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসলেও প্রকৃত ঘটনা না জেনে উল্টো তাকে মারধর করে এবং সেই দৃশ্যের ভিডিও ধারণ করে।
ভুক্তভোগী নারী প্রায় পনের দিন আগে তার সন্তানদের নিয়ে বাবার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন। ধর্ষণের পর স্থানীয়রা অভিযুক্ত ফজর আলীকে আটক করে মারধর করে, পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর তিনি পালিয়ে যান। সামাজিক মাধ্যমে ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর বিষয়টি পুলিশের নজরে আসে।
পুলিশ অভিযান চালিয়ে ফজর আলীকে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে গ্রেপ্তার করেছে। ভিডিও ভাইরাল করার অপরাধে আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ ভিডিও ধারণ ও ছড়িয়ে দেওয়ার পেছনে অন্যদের জড়িত থাকার সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে।
মুরাদনগর থানার ওসি জাহিদুর রহমান বলেন, প্রথমে নারী থানায় অভিযোগ না করলেও ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর তারা তাকে সাহায্য করতে পেরেছে। ভুক্তভোগীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। গ্রেপ্তারদের রিমান্ডে নিয়ে বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
স্থানীয়রা জানায়, শুরুতে তারা ভুল বুঝে নারীকেই দায়ী করেছে, পরে আসল ঘটনা বুঝে লজ্জায় পড়েছে। যারা ভিডিও করেছে এবং ছড়িয়ে দিয়েছে তাদেরও বিচারের দাবি জানানো হয়েছে।
এই ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে এবং নারীর নিরাপত্তা ও সামাজিক মনোভাব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছে।