close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

চীন সফরে যাচ্ছে বিএনপির উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
বাংলাদেশের রাজনৈতিক মঞ্চে এক নতুন গতিপথ—চীন সফরে যাচ্ছে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব। চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির আমন্ত্রণে এই সফর রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের চোখে একটি কৌশলগত বার্তা। সফর সফল হলে ঢাকার কূটনৈত..

বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি এবার কূটনৈতিক অঙ্গনে বড় পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল আগামী ২২ জুন চীন সফরে রওনা দেবে। সফরটি অনুষ্ঠিত হবে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির সরাসরি আমন্ত্রণে, যা রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ একটি বার্তা বহন করছে।

এই সফর সামনে রেখে ইতোমধ্যেই বিএনপির প্রতিনিধি দল ১৯ জুন সন্ধ্যায় ঢাকায় নিযুক্ত চীনের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত লিউ ইউইনের আমন্ত্রণে ঢাকাস্থ চীনা দূতাবাসে এক ঘরোয়া বৈঠকে অংশ নেয়। সেখানে উভয় পক্ষের মধ্যে পারস্পরিক স্বার্থ ও সহযোগিতা নিয়ে খোলামেলা আলোচনা হয় বলে জানা গেছে।

সফরসঙ্গী হিসেবে মির্জা ফখরুলের সঙ্গে থাকছেন দলের হেভিওয়েট নেতারা..


  স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস
  গয়েশ্বর চন্দ্র রায়
  সেলিমা রহমান
  ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন
  বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জহির উদ্দিন স্বপন
  ইসমাঈল জবিউল্লাহ
  অধ্যাপক ড. সুকোমল বড়ুয়া
  মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক মওদুদ আহমেদ পাভেল

এতো বিশাল এবং প্রভাবশালী প্রতিনিধিদল নিয়ে চীন সফরে যাওয়ার সিদ্ধান্তে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন—এটি একটি নতুন আন্তর্জাতিক বার্তা, যেখানে বিএনপি আবারও বৈদেশিক যোগাযোগ জোরদার করার কৌশলে এগিয়ে যাচ্ছে।

চীনের সঙ্গে এধরনের সরাসরি রাজনৈতিক যোগাযোগের চেষ্টা এই প্রথম নয়। তবে এবার সফরের গুরুত্ব আরও বেশি, কারণ এটি এমন সময়ে হচ্ছে যখন দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ, নির্বাচনকালীন সরকার ও গণতান্ত্রিক কাঠামো নিয়ে অভ্যন্তরীণ চাপ বাড়ছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই সফরের মধ্য দিয়ে বিএনপি আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে সক্রিয় অবস্থান নিতে চায়। চীনের মতো বিশ্ব শক্তিধর রাষ্ট্রের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার মাধ্যমে তারা ভবিষ্যতের আন্তর্জাতিক সমর্থন নিশ্চিত করতে চাইছে। অন্যদিকে, চীন নিজেও দক্ষিণ এশিয়ায় তার প্রভাব বৃদ্ধির অংশ হিসেবে বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক রাখায় আগ্রহী।

এই সফর কেবল সৌজন্যমূলক সফর নয়, বরং এখানে থাকছে কৌশলগত আলোচনা, পার্টি-টু-পার্টি সম্পর্ক জোরদার এবং সম্ভাব্য সহযোগিতার রূপরেখা। চীনের কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে এমনভাবে সম্পর্ক স্থাপন করলে, ভবিষ্যতে চীনের উন্নয়ন অভিজ্ঞতা, অর্থনৈতিক সম্পর্ক এবং রাজনৈতিক পরামর্শগুলো থেকে বিএনপি কার্যকরভাবে উপকৃত হতে পারে।

এদিকে, রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা এটিও দেখছেন যে, এই সফর সরকারের উপর এক ধরণের চাপ তৈরি করবে। বিশেষত, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের হলেও বিএনপির সরাসরি এই সফর নতুন বার্তা দিতে পারে। চীন যদি বিএনপির সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক আরও জোরদার করে, তবে ঢাকার রাজনৈতিক ভারসাম্যেও পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে।

Ingen kommentarer fundet