close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

চীন বাংলাদেশে নির্মাণ করবে হাসপাতাল: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের ঘোষণা

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
চীন সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশের নতুন সহযোগিতার আওতায়, চীনা কর্তৃপক্ষ ঢাকার নিকটবর্তী এলাকায় দুটি গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতাল নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এই হাসপাতাল
চীন সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশের নতুন সহযোগিতার আওতায়, চীনা কর্তৃপক্ষ ঢাকার নিকটবর্তী এলাকায় দুটি গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতাল নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এই হাসপাতালগুলি ভারতীয় ভিসা পেতে সমস্যায় পড়া বাংলাদেশি রোগীদের জন্য চিকিৎসাসেবা প্রদান করবে। বাংলাদেশে চিকিৎসাসেবার সুযোগ বৃদ্ধি ও ভারতীয় ভিসা সমস্যার কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। গত ২০ থেকে ২৪ জানুয়ারি বেইজিং সফর শেষে, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, চীন সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে তারা কুনমিং শহরে বাংলাদেশি রোগীদের জন্য দুটি থেকে তিনটি হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে, বিশেষ করে চিকিৎসা সংক্রান্ত বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিকল্প সৃষ্টি হবে। তিনি আরও জানান, চীন ঢাকার উপকণ্ঠে পূর্বাচলে সরকারি মালিকানাধীন জমিতে একটি বৃহৎ সরকারি হাসপাতাল নির্মাণে সম্মত হয়েছে। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে, বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে। তবে হাসপাতাল নির্মাণের পাশাপাশি, চীনের সঙ্গে একটি তৃতীয় স্তরের হাসপাতাল স্থাপনের পরিকল্পনাও রয়েছে। এটি সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বের (পিপিপি) আওতায় পরিচালিত হবে। ভারতীয় ভিসা সমস্যা এবং চীনের সহায়তা: ভারতীয় ভিসা সমস্যা অব্যাহত থাকায় বাংলাদেশি রোগীরা চিকিৎসার জন্য বিকল্প গন্তব্য খুঁজছিলেন। এই কারণে চীন সরকারের হাসপাতাল নির্মাণের সিদ্ধান্ত বিশেষভাবে প্রশংসিত হচ্ছে। কুনমিং, যা চীনের ইউনান প্রদেশের রাজধানী, সেখানে বাংলাদেশি রোগীদের জন্য হাসপাতাল মনোনীত করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইউনানের ডেপুটি গভর্নর। এছাড়াও, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন চীনা কর্তৃপক্ষকে বাংলাদেশি চিকিৎসাপ্রার্থীদের জন্য ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করার এবং ভিসা ফি কমানোর অনুরোধ করেছেন। চীনের সঙ্গে অন্যান্য দ্বিপাক্ষিক আলোচনা: তার চীনা সফরে, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও জানিয়েছেন, চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছেন এবং উন্নয়ন প্রকল্প, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। এছাড়া, তিনি চীনা কর্তৃপক্ষকে ঋণের সুদের হার কমানোর এবং ঋণ পরিশোধের সময়কাল ২০ থেকে ৩০ বছর বাড়ানোর জন্য আবেদন করেছেন। চীনা পক্ষও এ বিষয়ে ইতিবাচক প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর বাঁধ নির্মাণ ও জলসম্পদ চুক্তি: সফরের সময় পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর বাঁধ নির্মাণ নিয়ে বাংলাদেশের উদ্বেগও চীনা কর্তৃপক্ষের কাছে তুলে ধরেছেন। তিনি চীনা পক্ষের কাছে এই বিষয়ে বিস্তারিত গবেষণা জানতে চান। চীনা কর্তৃপক্ষ আশ্বস্ত করেছে যে, তাদের পদক্ষেপ বাংলাদেশের জলপ্রবাহে কোনো প্রভাব ফেলবে না। এছাড়া, তিস্তা নদী প্রকল্পে চীনা সহায়তা নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। তবে, চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে জলসম্পদ ব্যবস্থাপনা চুক্তি নবায়ন সংক্রান্ত আলোচনা চলছে এবং খুব শীঘ্রই খসড়া চূড়ান্ত হবে। নবায়নকৃত চুক্তি এবং জলবিদ্যুৎ সমঝোতা স্মারক: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান, তাদের সফরের সময় বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে ‘ইয়ালুজাংবু-যমুনা’ নদীর ওপর জলবিদ্যুৎ-সম্পর্কিত তথ্য বিনিময়ের জন্য একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে। এটি দুই দেশের জলবিদ্যুৎ উৎপাদন এবং ব্যবস্থাপনায় সহযোগিতার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। এই সফরটি বাংলাদেশের চীনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতি ও বিভিন্ন প্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়ে কার্যকর আলোচনা চালানোর ক্ষেত্রেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
کوئی تبصرہ نہیں ملا