close

ভিডিও দেখুন, পয়েন্ট জিতুন!

চিকিৎসা শেষে আজ রাতে দেশে ফিরছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
চোখ ও শারীরিক জটিলতা নিয়ে থাইল্যান্ডে চিকিৎসা শেষে আজ রাতে দেশে ফিরছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিমানবন্দরে তাকে ঘিরে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে বাড়ছে তীব্র উৎসাহ।..


বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিদেশে চিকিৎসা শেষে আজ শুক্রবার (৫ জুন) রাতেই ফিরছেন বাংলাদেশে। থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের খ্যাতনামা রুটনিন আই হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ শেষে চিকিৎসকদের পরামর্শে তিনি দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

দলীয় সূত্র নিশ্চিত করেছে, বাংলাদেশ সময় রাত ১১টায় তিনি থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে ব্যাংকক থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন। রাত ১টা ২০ মিনিটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তার অবতরণের কথা রয়েছে। এ সময় বিমানবন্দরে দলের শীর্ষ নেতাকর্মীসহ অনেকে উপস্থিত থাকতে পারেন বলে জানা গেছে।

উল্লেখ্য, বিএনপি মহাসচিব দীর্ঘদিন ধরেই চোখের জটিলতা ও শারীরিক নানা সমস্যায় ভুগছিলেন। চিকিৎসা ও পর্যবেক্ষণের জন্য তিনি গত ১৩ মে দিবাগত রাত ২টা ৪৫ মিনিটে ব্যাংককের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেন। সেই সময় তার সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী রাহাত আরা বেগম।

রুটনিন আই হাসপাতাল থাইল্যান্ডের একটি সুপরিচিত চক্ষু হাসপাতাল, যেখানে জটিল রোগীদের উন্নত চিকিৎসা দেওয়া হয়। সেখানে তার চোখের স্বাস্থ্য সম্পর্কিত পরীক্ষানিরীক্ষা ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সম্পন্ন হয়েছে। পাশাপাশি অন্যান্য শারীরিক সমস্যার জন্যও বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে ছিলেন তিনি।

দীর্ঘদিন দলের হাইকমান্ড বাইরে থাকার কারণে বিএনপির মধ্যে একটি শূন্যতা অনুভব হচ্ছিল। তবে এখন দলের ভেতরে নতুন করে গতি ফেরার আশা করছেন অনেকে। মির্জা ফখরুলের দেশে ফেরাকে ঘিরে ঢাকার রাজনীতির মাঠে নতুন করে উত্তাপ ছড়াতে পারে বলেও ধারণা রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।

দলীয় নেতাকর্মীদের একাংশের মতে, "সারা দেশের মানুষ এখন নেতার জন্য অপেক্ষা করছে। চিকিৎসা শেষে তিনি সুস্থভাবে ফিরে আসায় আমরা সকলে আশাবাদী যে সামনে দলকে আরও কার্যকর নেতৃত্ব দিতে পারবেন।"

মির্জা ফখরুল দেশে ফিরেই চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে থাকবেন কিছুদিন। তবে দলীয় সূত্রে জানা গেছে, তার শারীরিক অবস্থা ভালো থাকলে খুব দ্রুতই তিনি রাজনীতির ময়দানে সক্রিয় হয়ে উঠবেন। দল পুনর্গঠন, আন্দোলন এবং পরবর্তী নির্বাচনী কৌশল নিয়েও তার নেতৃত্বে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে জানা গেছে।

বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ে আরও বলা হয়েছে, "চিকিৎসা শেষে নেতার ফিরে আসা দলের জন্য একটি ইতিবাচক বার্তা। আমরা তার সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে আবারও রাজপথে প্রাণ ফেরাতে পারব।"

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দেশে ফেরা শুধু একটি ব্যক্তিগত ঘটনা নয়, বরং রাজনৈতিক অঙ্গনে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় হিসেবে দেখা হচ্ছে। চিকিৎসা শেষে তার ফিরে আসা বিএনপির জন্য যেমন আত্মবিশ্বাসের উৎস, তেমনি দেশের রাজনীতিতে এক নতুন গতিপ্রবাহের ইঙ্গিত। এখন শুধু অপেক্ষা—দেখা যাক ফিরে আসার পর মির্জা ফখরুল কী বার্তা দেন এবং তার নেতৃত্বে বিএনপি কীভাবে সামনের পথে এগিয়ে চলে।

 

Ingen kommentarer fundet