close
ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!
ছাত্রত্ব না থাকলে কিভাবে ছাত্র সংগঠনের নেতা? বিস্ফোরক প্রশ্নে উত্তাল ছাত্ররাজনীতি


ছাত্রত্ব ছাড়াও কীভাবে ছাত্র সংগঠনের নেতৃত্ব দেওয়া সম্ভব—এই প্রশ্নে উত্তাল দেশের ছাত্ররাজনীতি। সাম্প্রতিক সময়ে ছাত্রদল, ছাত্রশিবির ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে প্রকাশ্য বিভেদ এবং পরস্পরের বিরুদ্ধে তীব্র বক্তব্য পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন থেকে বিভেদের সূত্রপাত
২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে শুরু করে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের আন্দোলন পর্যন্ত এক মঞ্চে কাজ করেছে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন। তবে অন্তর্বর্তী সরকারের গঠন-পরবর্তী সময়ে ঐক্যের সেই ভিত্তি ধ্বসে যায়। সম্প্রতি, এক টেলিভিশন আলোচনায় উঠে আসে ছাত্র সংগঠনগুলোর বিভেদের নেপথ্য কারণ।
‘রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে তারুণ্যের ভাবনা’ অনুষ্ঠানের উত্তপ্ত মুহূর্ত
এক টেলিভিশন টকশোতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরের কাছে জানতে চান, “ছাত্রত্ব ছাড়া কীভাবে আপনি ছাত্র সংগঠনের নেতা হলেন? রানিং ছাত্ররাই তো ছাত্রদের দাবি ও কষ্ট সবচেয়ে ভালোভাবে বুঝতে পারে।”
নাছির দাবি করেন, “ফ্যাসিস্ট হাসিনার জুলুমের কারণে দলীয় কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছিল, যার কারণে পুরনো কমিটিই বহাল ছিল।”
ছাত্রশিবিরের সঙ্গে দ্বন্দ্বের চূড়ান্ত প্রকাশ
সাম্প্রতিক সময়ে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের সম্পর্কও অবনতির দিকে। ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সম্মেলনে নতুন সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম নির্বাচিত হওয়ার পর ছাত্রদল তা পাতানো নাটক বলে আখ্যা দেয়। উত্তরে ছাত্রশিবির নেতারা কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা উদ্ধৃত করে তীর্যক জবাব দেন।
ছাত্ররাজনীতির ভবিষ্যৎ
গত ২৫ নভেম্বর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটি সভায় ১৯টি সংগঠন অংশ নিলেও ছাত্রদলের কোনো প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না। নাছিরের অভিযোগ, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শুধু নির্দিষ্ট পক্ষকেই কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করছে।ছাত্ররাজনীতির ভবিষ্যৎ আজ ক্রমশ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। রানিং ছাত্রদের নেতৃত্বের দাবি এবং সংগঠনগুলোর মধ্যে বিভাজন—সব মিলিয়ে এক অভূতপূর্ব সংকটের মুখোমুখি দেশের ছাত্র আন্দোলন।
কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি