close
কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!
ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তকে ষড়যন্ত্র আখ্যা দিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে সংগঠনটি
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। ২৩ অক্টোবর রাতের প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই নিষেধাজ্ঞা জারি করে। সিনিয়র সচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ছাত্রলীগ নানা অপরাধে জড়িত থাকার কারণে ‘সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯’ এর ধারা ১৮ এর অধীনে সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে আরও উল্লেখ করা হয়, ছাত্রলীগ বিগত ১৫ বছরে হত্যা, নির্যাতন, টেন্ডারবাজি, যৌন নিপীড়নসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ছিল এবং এসব অপরাধে সংগঠনের নেতাকর্মীরা আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে সরকার এই ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।
নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন অভিযোগ করেন, বর্তমান সরকারের হাতে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীদের রক্তের দাগ রয়েছে। গণহত্যার দায় এড়াতে সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তিনি দাবি করেন, ছাত্রলীগ সবসময় দেশের স্বার্থে কাজ করেছে এবং এই সিদ্ধান্ত ষড়যন্ত্রমূলক।
পরে, ছাত্রলীগ আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে এই নিষেধাজ্ঞাকে ‘ষড়যন্ত্র’ আখ্যা দিয়ে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায়। ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে সরকারকে অবৈধ ও অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়ে তাদের পদত্যাগের দাবি জানানো হয়। তারা মনে করিয়ে দেন, ৫২’র ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধসহ প্রতিটি গণআন্দোলনে ছাত্রলীগের ভূমিকা ছিল গৌরবোজ্জ্বল।
বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় ছাত্রলীগকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিতর্কিত করার চেষ্টা করা হয়েছে। তারা দাবি করেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী মহল ছাত্রলীগকে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে দাঁড় করানোর ষড়যন্ত্র করেছে।
ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকার নিজেদের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ব্যর্থতা ঢাকতে ঐতিহ্যবাহী সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ করেছে এবং জনগণের মনোযোগ ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে।
Nenhum comentário encontrado



















