close

লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!

ছাত্রদলের অ স্ত্র এখন স ন্ত্রা স ও পে শি শ ক্তি: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিবির নেতার মন্তব্য..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মহউদ্দিন খান এক ফেসবুক পোস্টে বলেন, ছাত্রদলের মূল ভরসা এখন সন্ত্রাস ও পেশিশক্তি। ফ্যাসিজমে পরিণত হতে না পারার হতাশা থেকেই ছাত্রদল অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে, এবং..

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মহউদ্দিন খান ছাত্রদলের কার্যক্রমকে সরাসরি সন্ত্রাসমূলক আখ্যা দিয়ে এক বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। শনিবার বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি ছাত্রদলকে ফ্যাসিবাদী মানসিকতার ধারক বলে উল্লেখ করেন এবং বলেন, "ছাত্রদলের একমাত্র পথ এখন পেশিশক্তি ও সন্ত্রাস।"

মহউদ্দিন খান তার পোস্টে আরও বলেন, সম্প্রতি কমার্স কলেজে ছাত্রশিবিরের ওপর ছাত্রদলের হামলা প্রমাণ করে যে সংগঠনটি রাজনৈতিক মতপার্থক্যের বদলে সহিংসতাকেই নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার কৌশল হিসেবে নিয়েছে। তিনি দাবি করেন, ছাত্রদল দলগতভাবে সন্ত্রাসকে জাস্টিফাই করে, এবং নারীর ওপর সহিংসতার ঘটনাকেও সেটির অংশ হিসেবে তুলে ধরেন।

তিনি আরও বলেন, "ছাত্রদলের দীর্ঘমেয়াদি ফ্যাসিস্ট রূপ নেওয়ার ক্ষমতা নেই। এর পেছনে একাধিক কারণ আছে। তবে সবচেয়ে বড় বাধা হলো ছাত্রশিবিরের মতো সংগঠন, যারা বিরোধী মত প্রকাশের ক্ষেত্রে সাহসী ও সচেতন। তাছাড়া জুলাই-পরবর্তী সময় থেকে ছাত্রসমাজ ও সাধারণ জনগণের মধ্যে রাজনৈতিক সচেতনতা অনেক বেড়েছে, যা ছাত্রদলের ফ্যাসিস্ট প্রবণতায় বড় বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।"

'সফট পাওয়ার' ছাত্রদলকে ফ্যাসিবাদের দিকে ঠেলে দিচ্ছে?

মহউদ্দিন খান পোস্টের দ্বিতীয় অংশে ছাত্রদলের ফ্যাসিবাদী চেতনার পেছনে ‘সফট পাওয়ার’ নামে একটি গোপন বলয়ের দায় চাপান। তার মতে, এই ‘সফট পাওয়ার’ ছাত্রদলের অপরাধসমূহকে এড়িয়ে গিয়ে বরং বিরোধী মতকে দমন করাকেই মুখ্য করে তুলছে।

তিনি বলেন, "ছাত্রদলের দ্রুত ফ্যাসিস্ট হতে না পারার যন্ত্রণা লাঘব করে দেয় তথাকথিত সফট পাওয়ার। এরাই বিরোধী মতকে নাই করে দিতে চায় কৌশলে। ছাত্রদল বা বড় দলের অপরাধ তাদের চোখে স্বাভাবিক মনে হয়, কিন্তু ছোট দল বা বিরোধী মতের কোনো ছোট অপরাধই যেন মূখ্য হয়ে ওঠে। এই চিন্তাধারাই ভবিষ্যতের ফ্যাসিজমকে জন্ম দিতে সহায়ক হবে।"

মহউদ্দিনের মতে, ‘সফট পাওয়ার’ ফ্যাসিজমের জন্য আবশ্যক সহযোগী। এই বলয় এমনভাবে ‘ফ্রেমিং’ করে যে জনগণের দৃষ্টিতে বিরোধী মতকে অপরাধী হিসেবে দাঁড় করানো সহজ হয়। এইভাবে বাস্তব অপরাধের বিচার উপেক্ষিত হয়ে, মতবাদ দমনের প্রবণতা শক্তিশালী হয়ে ওঠে।

তিনি লেখেন, "এই সফট পাওয়ার ছাড়া ফ্যাসিজম বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। যদি সামনে কোনো ফ্যাসিজম আসে, সেটা এই সফট পাওয়ারের ওপর নির্ভর করেই আসবে। তাই আমাদের এদের ব্যাপারে ক্রিটিক্যাল থাকা জরুরি।"

মহউদ্দিন খানের এই মন্তব্য রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনা তৈরি করতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। কারণ, ছাত্রদল ও ছাত্রশিবির—দুই সংগঠনের মধ্যে বহু পুরনো সংঘাত থাকলেও এই ধরণের সরাসরি ফ্যাসিজম, সফট পাওয়ার এবং সন্ত্রাস নিয়ে স্পষ্ট মন্তব্য আগে কখনো এভাবে প্রকাশ্যে আসেনি।

তাছাড়া, একটি জাতীয় ছাত্রসংগঠনের বিরুদ্ধে এমনভাবে ‘ফ্যাসিস্ট হওয়ার অক্ষমতা’ তুলে ধরা এবং ‘গোপন বলয়’ নিয়ে বক্তব্য আসলে বাংলাদেশের ছাত্ররাজনীতিতে নতুন প্রশ্ন তৈরি করতে পারে।

कोई टिप्पणी नहीं मिली