প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যার প্রতিবাদে সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এক জোরালো মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল। এই মানববন্ধনে ছাত্রদলের নেতারা ফ্যাসিবাদ, দখলদারিত্ব, শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস, এবং রাজনৈতিক বৈষম্যের বিরুদ্ধে সরব হন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস বলেন,
“ছাত্রদল বাংলা সিনেমার শাবানা নয়। শাবানা কষ্ট করেন, পরে সবাইকে ক্ষমা করে দেন। কিন্তু আমরা যদি আহত হই বা আমাদের কেউ নিহত হয়, তখন ক্ষমা করতে পারব না। আমাদেরও রক্ত গরম হয়।”
তিনি আরও বলেন, “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানার যাদের হাতে কলুষিত হয়েছে, তারা এই প্ল্যাটফর্মকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করছে। যারা শিক্ষাঙ্গনকে পুনরায় সন্ত্রাসের রাজত্বে ফিরিয়ে নিতে চায়, তারা ছাত্রদলের প্রতিরোধের মুখোমুখি হবে।”
🎙️ নেতারা যা বললেন:
ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন অভিযোগ করেন,
“বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পারভেজকে হত্যা করে আবার শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস ঢুকানোর চেষ্টা চলছে। যাদের হাতে ৫ আগস্টের আন্দোলনের ব্যানার ছিল, তারা এখন সেই ব্যানার ব্যবহার করে ছাত্রলীগকে পুনর্বাসন করছে।”
তিনি আরও বলেন,
“গণতন্ত্রের নামে চলছে মবোক্রেসি। সাধারণ শিক্ষার্থীর পরিচয়ে চলছে দখলদারিত্ব। আমরা কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফ্যাসিবাদ কায়েম হতে দেব না।”
প্রধান অভিযোগগুলো ছিল:
-
পারভেজ হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি
-
বৈষম্যবিরোধী ব্যানার ব্যবহার করে ছাত্রলীগ পুনর্বাসনের অভিযোগ
-
শিক্ষাঙ্গনে ফের সন্ত্রাস ঢোকানোর ষড়যন্ত্র
-
ছাত্রদলের উপর দমন-পীড়নের প্রতিবাদ
-
ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক পক্ষপাত ও বৈষম্য
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন:
ছাত্রদলের সহসভাপতি মাসুম বিল্লাহ, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক নাসিরুদ্দিন শাওন, সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল আমিন ভুইয়া ইমন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামিম আক্তার শুভসহ আরও অনেকে।
এই বক্তব্য এবং মানববন্ধন আগামী দিনগুলোতে ছাত্র রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে। ছাত্রদলের বক্তব্যে যে কঠোরতা ও সরাসরি হুঁশিয়ারি এসেছে, তা বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন উত্তাপ সৃষ্টি করতে পারে।