close
লাইক দিন পয়েন্ট জিতুন!
বিশ্বখ্যাত অর্থনীতিবিদ ও শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশের ছাত্ররা নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের উদ্যোগ নিচ্ছে। ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি এ তথ্য প্রকাশ করেন।
দেশজুড়ে সংগঠিত হচ্ছে ছাত্ররা
বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির নতুন মোড় নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে অধ্যাপক ইউনূস বলেছেন, ছাত্ররা নিজেদের দল গঠনের পরিকল্পনা করছে এবং ইতোমধ্যেই তারা দেশব্যাপী লোকজনকে সংগঠিত করছে। সম্প্রতি সুইজারল্যান্ডের দাভোসে অনুষ্ঠিত বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিতে গিয়ে তিনি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রধান বৈদেশিক বিষয়ক ভাষ্যকার গিডেয়েন র্যাচম্যানের সঞ্চালনায় ‘র্যাচম্যান রিভিউ’ নামের একটি পডকাস্টে অংশ নেন। ওই পডকাস্টের কথোপকথন লিখিত আকারে গতকাল প্রকাশিত হয়েছে।
নির্বাচন নিয়ে অধ্যাপক ইউনূসের দৃষ্টিভঙ্গি
বাংলাদেশে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পর্কে এক প্রশ্নের উত্তরে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, তিনি নির্বাচনের সম্ভাব্য দুটি সময় সম্পর্কে ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেন, কারণ এটি জাতীয় ঐক্য ধরে রাখার একটি সুযোগ। তিনি বলেন, “আমি জাতীয় ঐক্য ধরে রাখতে চাই, এটি থেকে বিচ্যুত হতে চাই না।”
ছাত্রদের রাজনীতিতে আগ্রহ ও দল গঠনের সম্ভাবনা
অধ্যাপক ইউনূস জানান, তার উপদেষ্টা পরিষদ গঠনের সময় তিনজন ছাত্রকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল, যারা সমাজের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে চায়। তিনি বলেন, “যদি তারা দেশকে ‘জীবন’ দিতে পারে, তাহলে তারা উপদেষ্টা পরিষদে বসতে পারে এবং দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। তারা ভালো কাজ করছে এবং এখন তারা বলছে, কেন আমরা নিজেরাই একটি দল গঠন করি না?”
তিনি আরও বলেন, “ছাত্ররা বলছে, আমাদের একটি সুযোগ দেওয়া হোক। তারা জানে যে প্রচলিত রাজনীতিতে আমার কোনো আসন নেই, কিন্তু তারা বিশ্বাস করে যে জনগণ তাদের চেনে এবং তাদের নেতৃত্বকে স্বাগত জানাবে। আমি তাদের বলেছি, পুরো জাতি তাদের জানে এবং তাদের উদ্যোগকে স্বীকৃতি দেবে। তারা যা করতে চায়, সেটি করার সুযোগ দেওয়া উচিত।”
রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যতের শঙ্কা
অধ্যাপক ইউনূস মনে করেন, দল গঠনের মাধ্যমে ছাত্ররা হয়তো রাজনীতির বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হবে। তিনি বলেন, “রাজনীতি শুরু করলে বিভিন্ন ধরনের রাজনীতিবিদ তাদের সাথে মিশে যাবে, যা তাদের আদর্শ থেকে বিচ্যুত করতে পারে। এটি একটি বিপদ। তবে ছাত্ররা প্রস্তুত এবং ইতোমধ্যেই দেশব্যাপী প্রচার চালাচ্ছে।”
নতুন রাজনৈতিক শক্তির উত্থান?
ছাত্রদের দল গঠনের এই উদ্যোগ বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে। অধ্যাপক ইউনূসের বক্তব্য অনুযায়ী, তারা শুধুমাত্র নিজেদের স্বার্থ রক্ষার জন্য নয়, বরং দেশের ভবিষ্যৎ গঠনে ভূমিকা রাখার লক্ষ্যে কাজ করছে। তারা বিশ্বাস করে, দেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থায় নতুন নেতৃত্বের প্রয়োজন এবং তারা সেই শূন্যস্থান পূরণ করতে চায়।
এখন দেখার বিষয়, ছাত্রদের এই আন্দোলন কতদূর এগোতে পারে এবং এটি দেশের রাজনীতিতে কী ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে। তবে এটি নিশ্চিত যে, বাংলাদেশে নতুন রাজনৈতিক শক্তির উত্থানের ইঙ্গিত স্পষ্ট হয়ে উঠছে।
No se encontraron comentarios



















