সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের বনগাঁও উত্তরপাড়া মসজিদের হুজরা খানায় এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে মসজিদের ইমাম শফিকুর রহমানকে (৪২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে এবং তারা ইমামকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
### **ঘটনার বিস্তারিত**
আসামী ইমাম মাওলানা শফিকুর রহমান সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট থানার বানীগ্রামের বাসিন্দা। তিনি ছাতকের ইসলামপুর ইউনিয়নের বনগাঁও উত্তরপাড়া মসজিদে ইমামের দায়িত্ব পালন করছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চলমান রমজান মাসে বনগাঁও উত্তরপাড়া মসজিদে কোরআন শিক্ষা কার্যক্রম চলছিল। উক্ত মসজিদে ইমাম হিসেবে কর্মরত ছিলেন শফিকুর রহমান। তিনি একসময় স্থানীয় একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতাও করতেন।
অভিযোগ অনুযায়ী, ইমাম মাওলানা শফিকুর রহমান ওই কিশোরীকে নানা কারণে উত্যক্ত করতেন। গত ৬ মার্চ, যোহরের নামাজের বিরতিতে অন্যান্য ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকরা মসজিদ থেকে বের হয়ে গেলে, ইমাম কিশোরীকে হুজরা খানায় ডেকে নিয়ে প্রথমবার তাকে ধর্ষণ করেন। পরে তিনি কিশোরীকে হত্যার হুমকি দেন যদি সে ঘটনাটি কাউকে জানায়।
কিশোরী ভয় পেয়ে বিষয়টি গোপন রাখে এবং নিয়মিত কোরআন শিক্ষা কার্যক্রমে যোগ দেয়। দুদিন পর, ৮ মার্চ, ইমাম আবারও কিশোরীকে হুজরা খানায় ডেকে দ্বিতীয়বার ধর্ষণ করেন।
### **অভিযোগ জানানো এবং গ্রেপ্তার**
এ ঘটনার পর কিশোরী তার পরিবারকে বিষয়টি জানায়, এবং তাদের সহায়তায় এলাকাবাসী ইমামকে আটক করে গণধোলাই দেয়। পরে তাকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়।
ছাতক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোখলেছুর রহমান আকন্দ জানান, কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে ইমামের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। কিশোরীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
### **এলাকাবাসীর প্রতিক্রিয়া**
এই ঘটনায় এলাকাবাসী তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এবং দাবি জানিয়েছে, ধর্মীয় স্থানগুলোতে শিশু ও নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। তারা আরও বলেছেন, এরকম ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে, যেন ভবিষ্যতে কেউ এমন অপকর্ম করার সাহস না পায়।



















