close
ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!
চাঁদাবাজির অভিযোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য শোকজ, তদন্তের পথে সংগঠন


বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সিলেট জেলা কমিটির এক সদস্যের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় সংগঠনের জেলা কমিটির আহ্বায়ক ও সদস্যসচিব তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দিয়েছেন। অভিযুক্ত সদস্যের নাম আজমল হোসেন, যিনি সিলেটের গোয়াইনঘাট সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। এ খবর নিশ্চিত করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সিলেট জেলার আহ্বায়ক আকতার হোসেন।
আজ সোমবার শোকজ নোটিশটি তার হাতে পৌঁছানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আকতার হোসেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে সিলেট জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পেজ থেকে এই শোকজ নোটিশ প্রকাশ করা হয়েছে।
নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, “আপনার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ এসেছে, যা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নীতি ও আদর্শ পরিপন্থী। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আপনাকে কেন স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না, তা জানতে চেয়ে আপনাকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ প্রদান করা হচ্ছে।”
এদিকে, সিলেট জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক আকতার হোসেন বলেন, “আমরা নোটিশ দিয়ে তার বক্তব্য জানতে চেয়েছি। নোটিশ দেওয়া মানেই যে তিনি দোষী, সেটি নয়। অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত চলবে এবং তার বক্তব্য শোনার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
অভিযোগের বিষয়ে আজমল হোসেন বলেন, “আমি এবং আমার সহকর্মীরা সব সময় চোরাচালান এবং অবৈধ কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সোচ্চার আছি। ধারণা করছি, যারা অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িত, তারাই হয়তো এমন অভিযোগ তুলতে পারে। আমি চাঁদাবাজির ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত নই।” তিনি আরও বলেন, “শোকজের নোটিশ আমি ফেসবুকে দেখেছি, তবে এখনো আমার হাতে কোনো অফিসিয়াল নোটিশ পৌঁছায়নি।”
এ ঘটনায় সিলেট জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সংগঠনটি সংশ্লিষ্ট অভিযোগের তদন্তে নিবিড়ভাবে মনোযোগী হয়ে উঠেছে। এই ঘটনাটি সংগঠনের নীতি ও আদর্শের প্রতি তাদের দৃঢ়তা বজায় রাখার প্রমাণস্বরূপ হতে পারে, এবং অভিযোগটি সঠিকভাবে যাচাই না হওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে না।
এ ঘটনায় সিলেট জেলার সাধারণ ছাত্রদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। অনেকে মনে করছেন, এ ধরনের অভিযোগ সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে পারে, তবে অন্যদিকে সংগঠনটি এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নিচ্ছে—এটি তাদের আত্মবিশ্বাসী ভূমিকার প্রমাণ।
এখন দেখতে হবে, তদন্ত শেষে এই ঘটনা কীভাবে উন্মোচিত হয় এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এর উপর কী পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
Nema komentara