close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

চাল-তেলের বাজারে অস্থিরতা, শাক-সবজিতে স্বস্তি!

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
শীতের শেষ সময়ে রাজধানীর বাজারে সবজির সরবরাহ বাড়লেও চাল ও তেলের বাজারে দেখা দিয়েছে অস্থিরতা। বাজারে ক্রেতারা কিছুটা স্বস্তি পেলেও চাল-তেলের মূল্যবৃদ্ধি সাধারণ মা
শীতের শেষ সময়ে রাজধানীর বাজারে সবজির সরবরাহ বাড়লেও চাল ও তেলের বাজারে দেখা দিয়েছে অস্থিরতা। বাজারে ক্রেতারা কিছুটা স্বস্তি পেলেও চাল-তেলের মূল্যবৃদ্ধি সাধারণ মানুষের কপালে ভাঁজ ফেলছে। বাজারের বর্তমান চিত্র শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, কেরানীগঞ্জের আগানগর ও জিনজিরা ঘুরে দেখা গেছে, বেশিরভাগ শাক-সবজির দাম কমেছে। তবে চাল ও তেলের বাজারে অস্থিরতা অব্যাহত রয়েছে। সবজির দামে স্বস্তি শীতকালীন শাক-সবজির সরবরাহ বাড়ায় দাম কমেছে বেশিরভাগ পণ্যের। বর্তমানে বাজারে প্রতি কেজি বেগুন ৪০-৫০ টাকা, করলা ৪০ টাকা, বরবটি ৫০ টাকা, মুলা ১৫-২০ টাকা, লতি ৫০ টাকা ও পটোল ৩০-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শিম ২০ টাকা, টমেটো ৩০-৪০ টাকা, গাজর ৩০ টাকা, শসা ৩০ টাকা, শালগম ২০ টাকা, মটরশুঁটি ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও, ফুলকপি ও বাঁধাকপি যথাক্রমে ২০-২৫ টাকা ও ২৫-৩০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। সবজি বিক্রেতাদের মতে, সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় সবজির দাম হ্রাস পেয়েছে, যা ক্রেতাদের জন্য স্বস্তির খবর। আলু ও পেঁয়াজের বাজারেও ইতিবাচক পরিবর্তন নতুন আলুর সরবরাহ বাড়ায় দাম কমেছে। বর্তমানে প্রতি কেজি নতুন আলু ২০-২৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, পাইকারি পর্যায়ে যা ১৮-২০ টাকা এবং আড়তে ১৬ টাকা। পেঁয়াজের বাজারেও দাম কিছুটা কমেছে। বর্তমানে পুরান দেশি পেঁয়াজ ৮৫-১০০ টাকা, নতুন মুড়িকাটা পেঁয়াজ ৪৫-৫০ টাকা এবং আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ ৬৫-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাইকারি পর্যায়ে মুড়িকাটা পেঁয়াজ ৪০-৪৪ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ ৬০-৬২ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। অস্থির চালের বাজার বাজারে চালের দাম এখনো ঊর্ধ্বমুখী। প্রতি কেজি মিনিকেট ৮০ টাকা, আটাইশ ৫৮-৬০ টাকা, মোটা স্বর্ণা ৫২-৫৬ টাকা, নাজিরশাইল ৭৬-৮২ টাকা এবং পোলাও চাল ১১৬-১১৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মিল পর্যায়ে তদারকি না থাকায় চালের দাম আরও বাড়তে পারে বলে ব্যবসায়ীরা আশঙ্কা করছেন। তেলের বাজারেও সংকট এক মাস আগে তেলের দাম বাড়ানোর পরও বাজারে সংকট কাটেনি। বোতলজাত সয়াবিন তেল পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যাচ্ছে না। পাঁচ লিটারের বোতল কিছুটা সহজলভ্য হলেও এক ও দুই লিটারের বোতল পাওয়া যাচ্ছে না পর্যাপ্ত পরিমাণে। বাজারে খোলা সয়াবিন তেল কেজি প্রতি ১৭৫-১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা দাবি করছেন, কোম্পানিগুলো পর্যাপ্ত সরবরাহ করছে না এবং তেল কিনতে গেলে অন্যান্য পণ্যও কিনতে বাধ্য করা হচ্ছে, যা সংকট তৈরি করছে। ভোক্তাদের প্রত্যাশা ভোক্তারা মনে করছেন, বাজার মনিটরিং বৃদ্ধি ও আমদানি বাড়ালে চাল ও তেলের বাজার স্থিতিশীল হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকার যদি দ্রুত পদক্ষেপ না নেয়, তবে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম আরও বাড়তে পারে।
No comments found


News Card Generator