'আই নিউজ বিডি' অ্যাপ
ঘটনাটি রাজধানীর বিমানবন্দর থানার। গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তির নাম রকিবুল ইসলাম, যিনি নর্দান বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে তাকে গ্রেফতার করে বিমানবন্দর থানা পুলিশ।
গ্রেফতারের খবর ছড়িয়ে পড়তেই, বিমানবন্দর থানা ছাত্রদলের সভাপতি রিপন নিজেই ফোন করেন থানার অফিসার ইনচার্জকে (ওসি)। ফোন করে তিনি বলেন, আটক ব্যক্তিকে ছেড়ে দিতে অনুরোধ করছেন। পরবর্তীতে রিপন স্থানীয় ছাত্রদলের কয়েকজন কর্মীকেও থানায় পাঠান রকিবুলকে ছাড়িয়ে আনার জন্য।
এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ছাত্রদল নেতা রিপন অকপটে স্বীকার করেন, "আমি জানতাম না সে ছাত্রলীগ করে। এলাকার বড় ভাই টিপু বলেছে, তাই ফোন দিয়েছিলাম।"
এই ‘বড় ভাই’ টিপু কে? জানা গেছে, তিনি ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডের স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা এবং ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান নাঈমের ঘনিষ্ঠ অনুসারী।
এদিকে, থানা সূত্রে জানা গেছে, রকিবুলকে ছাড়াতে নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী থানায় গিয়ে অবস্থান নেয় ওসির কক্ষে। তাদের দাবি, রকিবুলকে ছেড়ে না দিলে তারা বিমানবন্দর রেলপথ অবরোধ করবে।
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে বিমানবন্দর থানার ওসি তসলিমা আক্তারের ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। এ নিয়ে তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এই ঘটনাটি একদিকে যেমন রাজনৈতিক দলগুলোর অদ্ভুত ও অপ্রত্যাশিত সমঝোতা বা দ্বিচারিতার ইঙ্গিত দিচ্ছে, অন্যদিকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যক্রম ও রাজনৈতিক চাপে তাদের অবস্থান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে।
টাইটেল সাজেশন:
-
"ছাত্রলীগ নেতাকে ছাড়াতে ছাত্রদলের সুপারিশ: রাজনৈতিক নাটকীয়তা চরমে!"
-
"রকিবুলের মুক্তিতে ছাত্রদলের তদবির, ছাত্রলীগ-ছাত্রদল একসূত্রে?"
-
"ওসিকে ফোন, রেলপথ অবরোধের হুমকি—ছাত্রলীগ নেতার মুক্তিতে নেপথ্য চক্রান্ত
