ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের বহু এলাকাবাসীকে বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) পড়তে হবে চরম দুর্ভোগে। কারণ ওইদিন সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত টানা ১১ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে রাজধানী ও আশপাশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায়।
এই তথ্য বুধবার এক বার্তায় নিশ্চিত করেছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।
তিতাস গ্যাস জানিয়েছে, ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের ডিএনডি খাল খনন প্রকল্পের আওতায় ঢাকা অংশের ৯টি খালে বিদ্যমান গ্যাস পাইপলাইন স্থানান্তর করা হবে। আর এই পাইপলাইন সরানোর কাজের কারণেই বিশাল এলাকাজুড়ে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখতে হচ্ছে।
তালিকাটি দীর্ঘ, এবং অধিকাংশ এলাকাই জনবহুল ও শিল্পাঞ্চল ঘন। নিচে তালিকাভুক্ত করা হলো সেই সব এলাকা, যেখানে সব শ্রেণির গ্রাহকের গ্যাস সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে ৩ জুলাই, বৃহস্পতিবার:
- 
টেংরা, বাহির টেংরা, হাজীনগর, আমতলা, বড়ভাঙ্গা, কোদালদোয়া, সানাড়পাড়, নিমাইকাশারি, নামা শ্যামপুর, জিয়া সরণী, জাপানি বাজার, তিতাস গ্যাস সড়ক
 - 
ছাপড়া মসজিদ, রূপসী বাংলা হাসপাতাল, শনির আখড়া, আরএস টাওয়ার সংলগ্ন এলাকা, গোবিন্দপুর, মাতুয়াইল, মৃধাবাড়ী, কাজলা, ভাঙ্গা ব্রীজ, ডেমরা
 - 
স্টাফ কোয়ার্টার, আমুলিয়া, পাইটি, জহির স্টীল, শাহরিয়ার স্টীল, ধার্মিক পাড়া, কাউন্সিল এলাকা
 
শুধু তালিকাভুক্ত এলাকাগুলোই নয়, এসব এলাকার আশপাশের অঞ্চলগুলোতেও গ্যাসের চাপ কম থাকতে পারে বলে জানিয়েছে তিতাস গ্যাস। অর্থাৎ রান্নার জন্য গ্যাস ব্যবহারকারী হাজার হাজার পরিবারকে বিকল্প ব্যবস্থা রাখতে হতে পারে।
বিশেষ করে অফিস টাইমে সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে পুরো কাজ শেষ হবে রাত ৭টা পর্যন্ত, যা দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়।
তিতাস গ্যাস জানায়, ডিএনডি প্রকল্পের অধীনে চলমান খাল খনন কাজের জন্য গ্যাস লাইনের স্থানান্তর অত্যন্ত জরুরি। ভবিষ্যতে বড় বিপর্যয় এড়াতে এখনই এই কাজ সম্পন্ন করা হচ্ছে।
তবে এতে ভোক্তাদের যে অসুবিধা হবে, তা অস্বীকার না করেই তারা সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে।
গ্রাহকদের জন্য বিশেষ পরামর্শ
- 
সকালে কাজ শুরু হওয়ার আগেই প্রয়োজনীয় রান্না সেরে ফেলুন
 - 
পরিবারের সদস্যদের জানিয়ে দিন গ্যাস থাকবে না
 - 
কেউ অসুস্থ থাকলে, বিকল্পভাবে রান্নার ব্যবস্থা বা খাবার নিশ্চিত করুন
 - 
ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও হোটেল-রেস্টুরেন্টে বিশেষ প্রস্তুতি নেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে
 
এত বড় পরিসরে একদিনে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ সাধারণত দেখা যায় না। তাই ৩ জুলাই বৃহস্পতিবার সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়তে যাচ্ছেন ঢাকাবাসী ও নারায়ণগঞ্জের বহু পরিবার।
তালিকায় যদি আপনার এলাকার নাম থাকে, তবে প্রস্তুতি নিয়ে রাখুন এখনই।
		
				
			


















