ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছেলেকে কাতারের জাতীয় দলে! নাবিল ইরফানকে নিয়ে তোলপাড় ফুটবল দুনিয়া..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সন্তান নাবিল ইরফান এখন কাতারের জাতীয় ফুটবল দলে! স্টারস লিগে খেলার পর এবার বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দলে জায়গা করে নিলেন এই তরুণ প্রতিভা। সামাজিক মাধ্যমে ইতোমধ্যে প্রশংসার ঝড়!..

ফুটবলের আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গর্বের এক নতুন অধ্যায় যোগ করলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তরুণ নাবিল ইরফান। কাতার জাতীয় ফুটবল দলে ডাক পেয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশের ফুটবলপ্রেমীদের। মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম শক্তিশালী ফুটবল দল কাতার যখন বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে, তখন সেই দলের অংশ হয়ে উঠেছেন বাংলাদেশের এক তরুণ।

মাত্র ২১ বছর বয়সী এই ফুটবলার বর্তমানে কাতারের স্টার্স লিগে খেলা ক্লাব আল-ওয়াকরাহ এসসি-তে খেলছেন। ২০২১ সাল থেকে তিনি এই ক্লাবের হয়ে মাঠ মাতিয়ে চলেছেন। রাইট ব্যাক এবং ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার—দুই ভূমিকাতেই দারুণ পারফর্ম করে ইতোমধ্যে কাতার ফুটবল সংশ্লিষ্টদের নজরে পড়েছেন নাবিল।

কাতার ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের অফিসিয়াল সোশ্যাল মিডিয়া চ্যানেল থেকে নাবিলকে জাতীয় দলে ডাকার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। কাতারের বিশ্বকাপ বাছাইয়ের গুরুত্বপূর্ণ দুটি ম্যাচ রয়েছে ইরান ও উজবেকিস্তানের বিপক্ষে। সেই ম্যাচের স্কোয়াডেই এবার জায়গা করে নিয়েছেন বাংলাদেশের এই তরুণ। কাতারের স্প্যানিশ কোচ হুলেন লোপেতগুই নিজেই নাবিলকে ডেকে এনেছেন জাতীয় দলের ক্যাম্পে।

নাবিলের এই অর্জনকে ঘিরে এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশংসার বন্যা। অনেকেই বলছেন, এটি শুধু নাবিলের সাফল্য নয়, এটি বাংলাদেশ ফুটবলের জন্যও একটি ইতিবাচক সংকেত।

প্রবাসী ফুটবলারদের উত্থান

বাংলাদেশি ফুটবলারদের মধ্যে বিদেশে খেলা এখন নতুন কিছু নয়। এর আগে হামজা চৌধুরী, শামিত সোম, ফাহামিদুল ইসলাম প্রবাসী হয়েও বাংলাদেশের জাতীয় দলে জায়গা করে নিয়েছেন। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) আরো প্রবাসী খেলোয়াড় খুঁজে বের করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, যারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে লিগে খেলে নিজেদের দক্ষতা প্রমাণ করছেন।

নাবিল ইরফানের এই অগ্রযাত্রা প্রমাণ করে, বিশ্ব ফুটবলে এখন বাংলাদেশিদের সম্ভাবনাও অপরিসীম। সঠিক সুযোগ, প্রস্তুতি ও সহায়তা পেলে বাংলাদেশের তরুণরা আন্তর্জাতিক পর্যায়েও নিজেদের উপস্থিতি জানান দিতে পারেন।

পরিবার ও দেশের জন্য গর্ব

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি সাধারণ পরিবারের সন্তান নাবিল। তাঁর পরিবার এই সংবাদে আবেগাপ্লুত। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই এই তরুণের সাফল্যে নিজেদের গর্বিত মনে করছেন।

এখন দেখার বিষয়, তিনি মূল ম্যাচ স্কোয়াডে জায়গা করে নিতে পারেন কিনা এবং আন্তর্জাতিক ম্যাচে মাঠে নামার সুযোগ পান কিনা। তবে যা-ই হোক, জাতীয় দলে ডাক পাওয়া যে কোনও ফুটবলারের জন্যই এক বিশাল অর্জন, আর নাবিল সেই মঞ্চে পৌঁছে প্রমাণ করলেন—বাংলাদেশের তরুণরাও পারে।

 


নাবিল ইরফানের এই অর্জন শুধু তার নিজের নয়, এটা বাংলাদেশ ফুটবলের এক নতুন সম্ভাবনার জানালা খুলে দিল। এই তরুণের পা যেন বিশ্বমঞ্চে আরও দৃঢ়ভাবে বসে—এটাই এখন দেশের ফুটবলপ্রেমীদের প্রার্থনা।

কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি


News Card Generator