close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলার মামলায় গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ নেতাকে ‘চুক্তির’ পর মুক্ত করল পুলিশ..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
বগুড়ার শেরপুরে ছাত্রদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ককটেল হামলার মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া আওয়ামী লীগ নেতাকে এক ঘণ্টার মধ্যে ছেড়ে দিল পুলিশ! ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে উঠেছে থানার এসআই-এর বিরুদ্ধে। ঘটনার তদন্ত ও ব্যব..

বগুড়ার শেরপুরে ছাত্রদের পরিচালিত বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ওপর বর্বর ককটেল হামলার মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া আওয়ামী লীগ নেতাকে পুলিশ কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ছেড়ে দিয়েছে—আর এ নিয়েই চলছে জোর বিতর্ক ও ক্ষোভ।
ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার (২ জুন) বিকেলে, আর এতে পুলিশের এক উপ-পরিদর্শকের বিরুদ্ধে মোটা অঙ্কের ঘুষের বিনিময়ে আসামিকে মুক্তি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে, শেরপুর উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের ছোনকা বাজার এলাকা থেকে আওয়ামী লীগ নেতা আবু জাফর মজনু-কে গ্রেপ্তার করেন শেরপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তোফাজ্জল হোসেন। এই নেতা ২০২৪ সালের ১৭ জুলাই অনুষ্ঠিত হওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে ককটেল হামলা ও শিক্ষার্থীদের ওপর বর্বর মারধরের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার অন্যতম এজাহারভুক্ত আসামি।

কিন্তু চাঞ্চল্যকরভাবে, গ্রেপ্তারের কিছুক্ষণের মধ্যেই মজনুকে ছেড়ে দেন এসআই তোফাজ্জল। স্থানীয়দের দাবি—মজনুর পরিবারের সঙ্গে ঘণ্টাব্যাপী দেনদরবারের পর ঘুষের বিনিময়ে এই মুক্তি দেয়া হয়।

২০২৪ সালের ১৭ জুলাই দুপুরে শহরের ধুনট রোড বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ছাত্রদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কর্মসূচিতে ককটেল বিস্ফোরণ ও বেধড়ক মারধরের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় রিফাত সরকার নামের এক শিক্ষার্থী বাদী হয়ে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে একটি মামলা দায়ের করেন ২ নভেম্বর।
এই মামলায় ১৪৭ জনের নাম উল্লেখসহ বহু অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।

আসামিদের তালিকায় ছিল বিশালপুর ইউনিয়নের গোয়াল বিশ্ব গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা আবু জাফর মজনুর নামও।

ঘটনার পরপরই স্থানীয় বিএনপি ও বিভিন্ন সংগঠন ক্ষোভে ফেটে পড়েছে।
বিএনপির বিশালপুর ইউনিয়ন শাখার ৬ নম্বর ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক সিরাজ উদ্দিন বলেন:

“গত ১৬ বছর ধরে আওয়ামী লীগ নেতা আবু জাফর মজনু বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীদের উপর জুলুম চালিয়েছেন। এখন আবার ছাত্র আন্দোলনে ককটেল হামলা করে শিক্ষার্থীদের ভয় দেখাচ্ছেন। অথচ পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেও ছেড়ে দিয়েছে! এটি জঘন্য ঘটনা।”

জাতীয় নাগরিক পার্টির স্থানীয় সংগঠক রাশেদ সাহাদাত বলেন:

“এসআই তোফাজ্জল হোসেনের বিরুদ্ধে আগেও ঘুষের অভিযোগ শোনা গেছে। কিন্তু কেন আজও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি,সেটি বোধগম্য নয়।”

এসআই তোফাজ্জল হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন:

“আসামি গ্রেপ্তারের বিষয়টি সত্যি। কিন্তু তিনি হাইকোর্ট থেকে জামিন নেওয়ায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কোনো টাকা লেনদেন হয়নি।”

তবে জামিনের সুনির্দিষ্ট কাগজপত্র কিংবা মেয়াদ দেখাতে পারেননি তিনি।

শেরপুর থানার ওসি মঈনুদ্দিন বলেন:

“ঘটনাটি আমার জানা নেই। যদি এমন কিছু ঘটে থাকে, তবে তা দুঃখজনক। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।”

এই ঘটনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে রাজনৈতিক ও নাগরিক সমাজের নেতাকর্মীরা একবাক্যে দাবি করছেন—এই ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করে দায়ীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

বগুড়ার শরপুরে ছাত্রদের পরিচালিত বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ওপর বর্বর ককটেল হামলার মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া আওয়ামী লীগ নেতাকে পুলিশ কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ছেড়ে দিয়েছে—আর এ নিয়েই চলছে জোর বিতর্ক ও ক্ষোভ।
ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার (২ জুন) বিকেলে, আর এতে পুলিশের এক উপ-পরিদর্শকের বিরুদ্ধে মোটা অঙ্কের ঘুষের বিনিময়ে আসামিকে মুক্তি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে শেরপুর উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের ছোনকা বাজার এলাকা থেকে আওয়ামী লীগ নেতা আবু জাফর মজনু-কে গ্রেপ্তার করেন শেরপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তোফাজ্জল হোসেন। এই নেতা ২০২৪ সালের ১৭ জুলাই অনুষ্ঠিত হওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে ককটেল হামলা ও শিক্ষার্থীদের ওপর বর্বর মারধরের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার অন্যতম এজাহারভুক্ত আসামি।

কিন্তু চাঞ্চল্যকরভাবে, গ্রেপ্তারের কিছুক্ষণের মধ্যেই মজনুকে ছেড়ে দেন এসআই তোফাজ্জল। স্থানীয়দের দাবি—মজনুর পরিবারের সঙ্গে ঘণ্টাব্যাপী দেনদরবারের পর ঘুষের বিনিময়ে এই মুক্তি দেয়া হয়।

২০২৪ সালের ১৭ জুলাই দুপুরে শহরের ধুনট রোড বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ছাত্রদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কর্মসূচিতে ককটেল বিস্ফোরণ ও বেধড়ক মারধরের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় রিফাত সরকার নামের এক শিক্ষার্থী বাদী হয়ে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে একটি মামলা দায়ের করেন ২ নভেম্বর।
এই মামলায় ১৪৭ জনের নাম উল্লেখসহ বহু অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।

আসামিদের তালিকায় ছিল বিশালপুর ইউনিয়নের গোয়াল বিশ্ব গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা আবু জাফর মজনুর নামও।

ঘটনার পরপরই স্থানীয় বিএনপি ও বিভিন্ন সংগঠন ক্ষোভে ফেটে পড়েছে।
বিএনপির বিশালপুর ইউনিয়ন শাখার ৬ নম্বর ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক সিরাজ উদ্দিন বলেন:

“গত ১৬ বছর ধরে আওয়ামী লীগ নেতা আবু জাফর মজনু বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীদের উপর জুলুম চালিয়েছেন। এখন আবার ছাত্র আন্দোলনে ককটেল হামলা করে শিক্ষার্থীদের ভয় দেখাচ্ছেন। অথচ পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেও ছেড়ে দিয়েছে! এটি জঘন্য ঘটনা।”

জাতীয় নাগরিক পার্টির স্থানীয় সংগঠক রাশেদ সাহাদাত বলেন:

“এসআই তোফাজ্জল হোসেনের বিরুদ্ধে আগেও ঘুষের অভিযোগ শোনা গেছে। কিন্তু কেন আজও তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি,

সেটি বোধগম্য নয়।”

এসআই তোফাজ্জল হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন:

“আসামি গ্রেপ্তারের বিষয়টি সত্যি। কিন্তু তিনি হাইকোর্ট থেকে জামিন নেওয়ায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কোনো টাকা লেনদেন হয়নি।”

তবে জামিনের সুনির্দিষ্ট কাগজপত্র কিংবা মেয়াদ দেখাতে পারেননি তিনি।

শেরপুর থানার ওসি মঈনুদ্দিন বলেন:

“ঘটনাটি আমার জানা নেই। যদি এমন কিছু ঘটে থাকে, তবে তা দুঃখজনক। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।”

এই ঘটনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে রাজনৈতিক ও নাগরিক সমাজের নেতাকর্মীরা একবাক্যে দাবি করছেন—এই ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করে দায়ীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

এ ধরনের ঘটনা শুধুমাত্র বিচারপ্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করে না, বরং মানুষের ন্যায়ের উপর আস্থা হারানোর পথ তৈরি করে।
যদি পুলিশের কেউ সত্যিই অপরাধীর সঙ্গে ঘুষের বিনিময়ে আঁতাত করে থাকে, তাহলে সেটি দেশের আইনের শাসনের জন্য বড় হুমকি।

দেশবাসী এখন তাকিয়ে আছে—এই ঘটনার পেছনের সত্য উন্মোচন ও দোষীদের শাস্তির দিকে

এ ধরনের ঘটনা শুধুমাত্র বিচারপ্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করে না, বরং মানুষের ন্যায়ের উপর আস্থা হারানোর পথ তৈরি করে।
যদি পুলিশের কেউ সত্যিই অপরাধীর সঙ্গে ঘুষের বিনিময়ে আঁতাত করে থাকে, তাহলে সেটি দেশের আইনের শাসনের জন্য বড় হুমকি।

দেশবাসী এখন তাকিয়ে আছে—এই ঘটনার পেছনের সত্য উন্মোচন ও দোষীদের শাস্তির দিকে

কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি