ন্দরবাসীর সাংস্কৃতিক চর্চার প্রাণকেন্দ্র হয়ে ওঠা সংগীত একাডেমি ‘মেলোডি মাস্টার’ উদযাপন করল তার প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এ উপলক্ষে বুধবার (২ জুলাই) বিকেলে বন্দরের বাবুপাড়াস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে আয়োজিত হয় জমকালো অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানে ছিল কেক কাটা, আলোচনা সভা এবং বর্ণিল সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এই আয়োজনে উপস্থিত অতিথি, শিল্পী ও শুভানুধ্যায়ীরা একসঙ্গে মিলিত হন সংগীতের আনন্দময় পরিবেশে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক গোলাম রসুল আজাদ। প্রাঞ্জল সঞ্চালনায় ছিলেন প্রফেসর আজাদ সুমন।
অতিথিদের প্রাণবন্ত বক্তব্য
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিআইএমটি’র অধ্যক্ষ প্রকৌশলী মো. খোরশেদ আলম। তিনি বলেন,
“সংগীত মানুষের মনের খোরাক, সমাজ গঠনে এর ভূমিকা অপরিসীম। মেলোডি মাস্টারের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো তরুণদের আলোকিত করে।”
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন
-
বন্দর প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত সভাপতি আতাউর রহমান,
-
সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল আলম জাহিদ,
-
উপদেষ্টা কবির হোসেন,
-
বিএম ইউনিয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রাথমিক শাখার প্রধান শিক্ষক রোকসানা সামিয়া,
-
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো. ইকবাল মাহমুদ,
-
লালজি মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক দিলিপ দাস প্রমুখ।
তাঁরা সবাইই সংগীত চর্চার গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং মেলোডি মাস্টারের কাজের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
সংগীতে অপসংস্কৃতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ
বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন,
“সংগীতের মাধ্যমে সমাজে মানবিকতা, নৈতিকতা এবং শুদ্ধ সংস্কৃতি চর্চা বাড়ানো জরুরি। মেলোডি মাস্টারের মতো সংগঠনগুলো যেন ভবিষ্যত প্রজন্মকে অপসংস্কৃতির হাত থেকে রক্ষা করে।”
অনুষ্ঠানজুড়ে তরুণ শিল্পীদের পরিবেশনায় ছিল সুরের মূর্ছনা, নাচ, আবৃত্তি ও বাদ্যযন্ত্রের সমন্বয়ে এক অনন্য অভিজ্ঞতা।
নতুন স্বপ্ন, নতুন পথচলা
‘মেলোডি মাস্টার’-এর সদস্য ও শিক্ষার্থীরা জানান, তারা সংগীতের মাধ্যমে নিজেদের গড়ে তুলতে এবং সমাজে ইতিবাচক বার্তা ছড়িয়ে দিতে বদ্ধপরিকর।
প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্য শুধু গান শেখানো নয়, বরং শিল্প-সংস্কৃতির শক্তিতে সমাজ গঠন করা।
অনুষ্ঠান শেষে এক প্রীতিভোজের মাধ্যমে দিনটি সম্পন্ন হয়।
শেষ কথা:
‘মেলোডি মাস্টার’ শুধু একটি সংগীত একাডেমি নয়—এটি একটি স্বপ্ন, একটি প্রতিবাদ, এবং একটি ইতিবাচক সংস্কৃতি চর্চার আন্দোলন। এক বছর পূর্তিতে তাদের এই যাত্রা আরও গতিময় ও বর্ণাঢ্য হয়ে উঠুক—এই শুভকামনায় নারায়ণগঞ্জবাসী।