close

ভিডিও আপলোড করুন পয়েন্ট জিতুন!

বড়লেখায় ভেজাল মাংস প্রতিরোধে প্রশাসনের অভিযান, জরিমানায় দণ্ডিত ১..

Amran Ahmed avatar   
Amran Ahmed
মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার কাঠালতলী বাজারে গরুর মাংসে কৃত্রিম রং ও সদ্য জবাই করা গরুর রক্ত মিশিয়ে তা বিক্রির অভিযোগে এক যুবককে হাতেনাতে আটক করেছে স্থানীয় জনতা। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত ওই দোকানিকে ১০ হাজ..

 

এমরান আহমদ, বড়লেখা থেকেঃ
মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার কাঠালতলী বাজারে গরুর মাংসে কৃত্রিম রং ও সদ্য জবাই করা গরুর রক্ত মিশিয়ে তা বিক্রির অভিযোগে এক যুবককে হাতেনাতে আটক করেছে স্থানীয় জনতা। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত ওই দোকানিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহায়তায় উপজেলা প্রশাসনের পরিচালিত অভিযানে এ জরিমানা আদায় করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ইউএনও (চলতি দায়িত্ব) মোহাম্মদ আসলাম সারোয়ার।

দণ্ডিত যুবক সাদেক আহমদ (১৯) সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের রহিম উদ্দিনের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে কাঠালতলী বাজারে দেওয়ান শাহ মাংসের দোকানে মাংস বিক্রি করে আসছিলেন।

স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, দোকানে অস্বাভাবিক রঙ ও গন্ধযুক্ত মাংস দেখে কয়েকজন ক্রেতা সন্দেহ প্রকাশ করেন। পরে দোকানদারকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে রক্ত ও কৃত্রিম রঙ মিশিয়ে রক্তহীন গরুর মাংসকে তাজা দেখানোর প্রমাণ পাওয়া যায়। এরপর উপস্থিত জনতা তাকে আটক করে প্রশাসনকে খবর দেন।

কাঠালতলী বাজারের ব্যবসায়ী ও স্থানীয় আক্তার হোসেন জানান, দেওয়ান শাহ মাংসের দোকানে মাংসের গন্ধে আমাদের সন্দেহ হয়। পরে দেখা যায়, সদ্য জবাই করা গরুর রক্ত ও রং মিশিয়ে পুরনো মাংস বিক্রির চেষ্টা চলছে। আমরা সঙ্গে সঙ্গে তাকে ধরে ফেলি।

অভিযানকালে আরও দেখা যায়, পাশের ভাই ভাই মাংস ঘর নামক একটি দোকানের বিক্রেতারা প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়ে দোকান বন্ধ করে পালিয়ে যায়। ধারণা করা হচ্ছে, তারাও একই ধরনের ভেজাল মাংস বিক্রির সঙ্গে জড়িত ছিল।

উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আসলাম সারোয়ার জানান, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯-এর ৪১ ধারায় সাদেক আহমদকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে তার কাছ থেকে একটি মুচলেকাও নেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, জনস্বাস্থ্য রক্ষায় প্রশাসনের এ ধরনের অভিযান নিয়মিত অব্যাহত থাকবে।

Geen reacties gevonden