close

কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!

ব্যক্তিগত জমিতে রাস্তার নির্মাণকাজ নিয়ে সংঘর্ষ, এনসিপি নেতাসহ আহত ৫..

আই নিউজ বিডি ডেস্ক  avatar   
আই নিউজ বিডি ডেস্ক
নাটোর বড়াইগ্রামে ব্যক্তিগত জমির রাস্তা পাকা করতে গিয়ে সংঘর্ষে এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুহু ইসলামসহ পাঁচজন আহত হন, দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ও মামলা হুমকির ঘটনায় থমথমে এলাকায় অবস্থা।..

নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম উপজেলায় ব্যক্তিগত জমির ওপর রাস্তা নির্মাণকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার সকাল ১০টার দিকে শ্রীরামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে, যেখানে এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুহু ইসলাম ও তার বাবা রফিকুল ইসলাম সহ মোট পাঁচ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে রয়েছেন জমির মালিক মুরাদ হোসেন, তার ছেলে সেলিম হোসেন ও সেলিমের স্ত্রী।

স্থানীয়রা জানান, ব্যক্তিগত মালিকানাধীন ওই জমির ওপর দিয়ে পূর্ব থেকে একটি কাঁচা রাস্তা ছিল যা স্থানীয়রা পায়ে চলার জন্য ব্যবহার করে আসছিলেন। কিন্তু রাস্তা পাকা করার জন্য দলের আর্থিক সহায়তায় কাজ শুরু করলে জমির মালিক ও তার পরিবারের সদস্যরা বাধা দেন। এতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং দুই পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতি শুরু হয়।

এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুহু ইসলাম বলেন, "আমাদের এলাকায় চলাচলের জন্য অনেকদিন ধরে একটি কাঁচা রাস্তা ছিল। বৃষ্টির সময় এটি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে। তাই দলীয় তহবিল থেকে টাকা দিয়ে ইট পাকা করার উদ্যোগ নিয়েছি। কিন্তু জমির মালিক ও তার লোকজন বাধা দিয়ে হামলা করেছে। আমার বাবা ও আমাকে গুরুতর আহত করেছে।"

অন্যদিকে জমির মালিক মুরাদ হোসেনের ছেলে আব্দুল হাই অভিযোগ করেন, "আমাদের ব্যক্তিগত জমি দিয়ে মাত্র পায়ে চলার রাস্তা দিয়েছি। তারা সেটি দখলের চেষ্টা করছিলেন। বাবা বাধা দিতে গেলে তারা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়েছে। বাবার অবস্থা আশঙ্কাজনক।"

আহতদের মধ্যে মুরাদ হোসেনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, আর বাকিদের বড়াইগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম সারওয়ার বলেন, “ঘটনার বিষয়ে অভিযোগ পেলে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নিব। দুই পক্ষকেই শান্ত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।”

স্থানীয়রা এই ঘটনার কারণে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে এবং কেউই পরিস্থিতি অবনতির দিকে যেতে না চাওয়া সত্বেও দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ ও মামলার হুমকি কাটছে না। ঘটনার দ্রুত নিষ্পত্তি ও শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানোর প্রয়োজন বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

এ ঘটনাটি নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার সামাজিক স্থিতিশীলতা ও সম্প্রীতির জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যে কোনো সময় পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। প্রশাসন যদি দ্রুততম সময়ের মধ্যে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়, তাহলে সংঘাতের মাত্রা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

No comments found


News Card Generator