close
কমেন্ট করুন পয়েন্ট জিতুন!
ঢাকা: বিসিএস ইনফরমেশন অ্যাসোসিয়েশন নামে গণযোগাযোগ অধিদপ্তর ও তথ্য অধিদপ্তরে কর্মরত বিসিএস (তথ্য) ক্যাডারের একটি সাব-ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সংগঠন থেকে দেওয়া বিবৃতির বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বিসিএস তথ্য সাধারণ বেতার কর্মকর্তা কল্যাণ সমিতি। তারা ওই বিবৃতিকে অত্যন্ত অপেশাদার ও বিভ্রান্তিকর বলে উল্লেখ করেছে।
প্রতিবাদ ও নিন্দা প্রকাশ
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিসিএস ইনফরমেশন অ্যাসোসিয়েশনের দেওয়া বিবৃতির তীব্র নিন্দা জানানো হয়। এতে বলা হয়, ‘‘এই বিবৃতিতে এমন কিছু তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে যা বাস্তবতার সঙ্গে সাংঘর্ষিক ও বিভ্রান্তিকর। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, বর্তমান সরকার জনকল্যাণমুখী প্রশাসন গঠনের লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করছে। এরই অংশ হিসেবে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে। অথচ, কিছু গোষ্ঠী নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য এ সংস্কারের বিরোধিতা করছে।’’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘‘তথ্য ক্যাডারের কিছু কর্মকর্তার দেওয়া এই বিবৃতি স্বচ্ছ প্রশাসনিক সংস্কারের পথে বড় বাধা। তারা ভুলে গেছেন যে সরকারি চাকরি ব্যক্তিগত স্বার্থে পরিচালিত হওয়ার জন্য নয়, বরং জনগণের সেবা নিশ্চিত করাই এর মূল লক্ষ্য।’’
সংস্কার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান ও বিভ্রান্তিকর তথ্য
বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সংস্কার প্রস্তাবকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে প্রত্যাখ্যান করা হচ্ছে। ‘‘এই গোষ্ঠী পত্রপত্রিকায় বিভ্রান্তিকর তথ্য দিচ্ছে এবং সঠিক তথ্যকে উপেক্ষা করছে,’’ উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে।
তথ্য ও সম্প্রচার ব্যবস্থাপনার প্রকৃত সত্য
বিবৃতিতে বিসিএস তথ্য সাধারণ বেতার কর্মকর্তা কল্যাণ সমিতি তথ্য-সাধারণ ক্যাডার ও বাংলাদেশ বেতারের কার্যক্রমের মধ্যে পার্থক্য তুলে ধরে। তারা দাবি করে, ‘‘তথ্য-সাধারণ ক্যাডারের কাজ হলো প্রচার, গণমাধ্যম ব্যবস্থাপনা, জনসংযোগ ও গণযোগাযোগ; অন্যদিকে, বাংলাদেশ বেতারের কাজ সংবাদ ও অনুষ্ঠান সম্প্রচার।’’
এছাড়া, সরকারি তথ্য ব্যবস্থাপনা ও প্রচার কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে তথ্য ক্যাডারের বিভিন্ন দপ্তরের ভূমিকা সম্পর্কেও পরিষ্কার ধারণা দেওয়া হয়। ‘‘তথ্য ক্যাডারের কর্মকর্তা শুধু সম্প্রচার নয়, বরং সরকারের জনসংযোগ, চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড পরিচালনা, ফিল্ম আর্কাইভ সংরক্ষণসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করেন।’’
একীভূতকরণের যৌক্তিকতা
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘‘বর্তমানে তথ্য ক্যাডারের তিনটি উপ-গ্রুপ (সাধারণ, অনুষ্ঠান, বার্তা) একই ডোমেইনের অংশ হিসেবে কাজ করে। প্রশাসনিক সংস্কারের স্বার্থে তাদের একীভূতকরণ প্রয়োজন। আলাদা তিনটি গ্রুপ রেখে জনস্বার্থ ও অর্থ অপচয়ের কোনো যুক্তি নেই।’’
সংগঠনের দাবি
বিসিএস তথ্য সাধারণ বেতার কর্মকর্তা কল্যাণ সমিতি দাবি করেছে, ‘‘জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রস্তাব বাস্তবায়ন করাই সরকারের দায়িত্ব। অযৌক্তিকভাবে কিছু ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর স্বার্থে প্রশাসনিক সংস্কার বাধাগ্রস্ত করা যাবে না।’’
এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে, যাতে প্রশাসনিক বিভ্রান্তি দূর হয় এবং সংস্কারের প্রক্রিয়া নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয়।
کوئی تبصرہ نہیں ملا