বিসিবি সভাপতির উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালনে আগ্রহ নেই বলেই জানিয়েছেন সামি। তার ভাষায়, “সম্মানিত বিসিবি সভাপতির উপদেষ্টা হিসেবে আমি দায়িত্ব পালন করতে ইচ্ছুক নই। যেদিন আমার ব্যাপারে প্রেস রিলিজ হয়, সেদিন থেকেই একটা মহল আমার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে সক্রিয় হয়ে ওঠে।”
তিনি জানান, নিজে থেকে নয়, বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের আহ্বানেই উপদেষ্টা পদে যোগ দিয়েছিলেন। প্রথম দিন থেকেই জানতেন এটি সম্পূর্ণ স্বেচ্ছাসেবামূলক (ভলান্টিয়ারি), কোনো সম্মানী বা পারিশ্রমিক নেই।
উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময়ের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে সামি বলেন, “সিলেট, চট্টগ্রাম, রংপুর ও রাজশাহী বিভাগে ঘুরে ঘুরে স্থানীয় সমস্যাগুলো চিহ্নিত করেছি। প্রতিটি জায়গায় মাঠ পর্যায়ের রিপোর্ট ও বিশ্লেষণ দিয়েছি। আমার কাজের কোনো ঘাটতি কেউ দেখেনি।”
তবে সেই কার্যক্রমই কারও কারও গাত্রদাহের কারণ হয়ে দাঁড়ায় বলে দাবি তার। সামি বলেন, “আমি কন্টেন্ট তৈরি করি, সেটাই আমার পেশা। মানুষকে বাস্তব সমস্যা দেখাতে চেয়েছি, যাতে বোর্ড স্বচ্ছতা নিয়ে কাজ করতে পারে। অথচ এটাকেই ‘কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট’ বলে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। প্রেসিডেন্টকেও বারবার বিভ্রান্ত করা হচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমি রাজনীতিবিদ না, বড় ব্যবসায়ীও না। ‘ডার্টি পলিটিক্স’ করতে আসিনি। যে কাজটা দেওয়া হয়, সেটা দায়িত্ব নিয়ে করতে পারি— এটাই আমার পরিচয়। সেই কাজেই যদি অন্যের সমস্যা হয়, তাহলে আমি আর থাকছি না।”
পোস্টের শেষে সামি তার স্ত্রীর একটি কথার উল্লেখ করেন— “বাংলাদেশে শুধু মেরিট বা ট্যালেন্ট দিয়ে কিছু হয় না।” এরপর তিনি লেখেন, “আজ মনে হলো, Wife is always right।”